ঈদের আগেই উত্তরখানের প্রধান সড়কের কার্পেটিং শেষ হবেঃ ডিএনসিসি প্রশাসক

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে নতুনভাবে সংযুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের অন্তর্গত উত্তরখানের প্রধান সড়কের কার্পেটিং ঈদের আগেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

রোববার ০২ মার্চ  দুপুরে রাজধানীর উত্তরখানে চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।

শুরুতে সকাল ১০টায় ডিএনসিসি প্রশাসক, প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনট্রাকশন ব্রিগেডের সদস্যরা আজমপুর রেলগেট থেকে উত্তরখানের রাস্তা ও ড্রেনেজের চলমান নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শুরু করেন। পরিদর্শন শেষে উত্তরখান আমবাগানে প্রকল্প আর্মি ক্যাম্পে ডিএনসিসি প্রশাসকের সভাপতিত্বে দক্ষিনখান-উত্তরখান এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম বিষয়ে ডিএনসিসি, ডেসকো, ওয়াসা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনট্রাকশন ব্রিগেডের সদস্যদের মধ্যে একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ডিএনসিসি প্রশাসক।

ডিএনসিসি’র প্রশাসক বলেন, ‘ঈদের আগে রমজান মাসের মধ্যেই উত্তরখানের প্রধান সড়কের কার্পেটিং শেষ হবে। উত্তরখানের প্রধান সড়কে কাজের গতি বাড়ানো হয়েছে। কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। রমজান মাসের মধ্যেই উত্তরখান থেকে আজমপুর পর্যন্ত পুরো সড়কটির কাজ শেষ হবে।’

তিনি বলেন, ‘ওয়াসা ও ডেসকো পানির ও বিদ্যুতের কাজের জন্য রাস্তা কাটার অনুমতি চেয়ে ডিএনসিসির কাছে আবেদন করেছে। আজকের সমন্বয় সভায় আমরা সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বর্ষায় নতুনভাবে সম্পন্ন করা রাস্তা কাটতে দেওয়া হবে না। বর্ষায় যেন জনগণের ভোগান্তি না হয় সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্ষা শেষে একটি নির্দিষ্ট সময়ে তাদের কাজের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে।’

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। জলাধার ভরাট করে বাড়িগুলো করা হয়েছে। প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা নেই। তাই এলাকার উন্নয়নে দুটি প্রধান চ্যালেঞ্জের একটি হলো ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক, প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ ও খালগুলো উদ্ধার করা আর দ্বিতীয় বড় চ্যালেঞ্জ হলো ড্যাপে এই জায়গায় যে নাগরিক সুবিধাদি রেখেছে যেমন মাঠ, পার্ক, হাসপাতাল সেগুলোর ব্যবস্থা করা।’

তিনি বলেন, ‘নতুন এলাকায় যেভাবে মাঠ ও খাল দখল হচ্ছে এগুলো বন্ধে রাজউক, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যৌথভাবে আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো। আগামী সপ্তাহে আমরা ৯ মার্চ ভাটারা সূতিভোলা খাল দখলমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পরদিনই জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাঁচকুড়ায় দেড় একর উদ্ধার করেছি যেখানে মাঠ ও কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা হবে।’

পরিদর্শনকালে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মোঃ মঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শরীফ উদ্দীন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খয়বর রহমান এবং মো: জুলকার নায়ন প্রমুখ।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement
Advertisement