ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে মাছ মাংসের দাম

খেলাফত হোসেন খসরু, পিরোজপুর:

পিরোজপুরের কাউখালীতে মাছ মাংসের দাম দিন দিন সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা মাছ ও মাংসের স্বাদ ভুলে যাচ্ছে। অনেকের পক্ষেই এখন মাছ-মাংস কিনে খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। শুধু মাছের বাজার ঘুরে আসা ছাড়া তাদের ক্রয় করার সামর্থ্য নেই।

গত ১৫ দিনের ব্যবধানে মাছ-মাংসের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল থাকার কারণে মাছ-মাংসের দাম বিক্রেতারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ করেন ক্রেতারা।

সোমবার সকালে কাউখালী দক্ষিণ বাজারে সাপ্তাহিক হাটের দিনে মাছ-মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম কেজিতে ৩০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে ইলিশ মাছ না থাকার কারণে মাছ ব্যবসায়ীরা এই সুযোগে অন্যান্য মাছের দাম বৃদ্ধি করে বিক্রি করছে। ১ কেজি ছোট চিংড়ি ৭৫০ টাকা, ছোট সাইজের দেশি কই মাছ ৫৫০ টাকা, শোল মাছ ৭০০ টাকা, কইয়া বৌল ৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৭০ টাকা, মরমা মাছ ৪০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ টাকা, পাবদা ৩০০ টাকা, রুই ৩০০ টাকা, কাতল ২৬০ টাকা, কোরাল ৬৫০ টাকা, পোমা ৩৫০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি সামুদ্রিক মাছের দাম কেজিতে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

মাছ বিক্রেতা আসমত আলী ও ইয়াকুব আলী জানান, বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম একটু বেশি। মাছ বিক্রেতা সাইদুল ইসলাম জানান, বাজারে ইলিশ মাছ না থাকা কারণে অন্যান্য মাছের দাম এ সময় একটু বেশি হয়। মাছের সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে। ক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে মাছ-মাংস কিনে খাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মাছ-মাংস কিনে খাওয়া আমাদের পক্ষে আর সম্ভব হবে না। আমরা শুধু দেখে যাব খাইতে পারবো না।

এদিকে মাংসের বাজারও ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে চলে গেছে। বয়লার মুরগি ২০০ টাকা, কক ৩৫০ টাকা, সোনালী ৩২০, গরুর মাংস ৮০০ ও খাসির মাংস ১ হাজার টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। গত ১৫ দিন ব্যবধানে বয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

মুরগির ব্যবসায়ী আব্দুল করিম বলেন, বাজারে মুরগির সরবরাহ কম এবং বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে খামারিদের মুরগি মরে গেছে। তবে সরবরাহ বাড়লে মুরগির দাম কমে যাবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *