গোপালগঞ্জে শিক্ষার্থীদের যাদু বিদ্যার বই কিনতে বাধ্য করলো প্রধান শিক্ষক

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

নিসা আক্তার দিনা, গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যাদু বিদ্যার বই কিনতে বাধ্য করার ঘটনা ঘটেছে। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক  মাহাবুব মুন্সী এই অনৈতিক কাজের নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এঘটনায় শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শহর জুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ পৌর এলাকার ঐতিহ্যবাহী এস.এম. মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয় টিতে ১ হাজার ১২জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত আছে।

সংক্ষুব্ধ অভিভাবকরা সাংবাদিকদের বলেন, গত গত সাপ্তাহে অ্যাসেম্বলি চলাকালীন সময় শিক্ষকরা ভারতীয় এক নাগরিকে ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের রোদে ভিতরে বসিয়ে ম্যাজিক দেখান। পরে যাদু বিদ্যার বই ক্রয়ের জন্য প্রলুব্ধ করেন এবং পরবর্তী দিনে বাসা থেকে ৪০ টাকা করে এনে স্কুলে জমা করতে নির্দেশ দেন। অভিভাবকরা আরো জানান, শিক্ষকদের কথা মত শিক্ষার্থীরা টাকা জমা দিলেও আজকে পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থী বই পাইনি। না প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী অভিভাবক বলেন, আমরা দরিদ্র মানুষ মন চাইলেই বাড়তি খরচ করতে পারিনা, গত বৃহস্পতিবার আমার বাচ্চা বাড়িতে এসে কান্না করছে। বলেছে স্যার ম্যাজিক বই কেনার টাকা নিয়ে স্কুলে যেতে বলেছে, আমি ধার করে টাকা দিয়েছি তবে এখনো বাচ্চাকে স্কুল থেকে বই দেয়নি।

বিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোঃ বাসার হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষক মাহাবুব মুন্সীর স্ত্রী সহকারী শিক্ষক রুকসানা আক্তার লিরা পরিচালিত রাইজ এডুকেশন কেয়ার নামের একটি কোচিং এ  শিক্ষার্থীদের পড়তে বাধ্য করতেন। তার কোচিং এ না পড়লে বাচ্চাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার সহ ক্লাসে ফেল করানোর ভয় দেখানো হতো। এই অনিয়ম অব্যবস্থাপনা দেখে আমার বাচ্চাকে অনির্বাণ স্কুলে ভর্তি করি। শুনেছি ওই সহকারী শিক্ষক এখনো শিক্ষার্থীদের তার পরিচালিত কোচিং এ ভর্তি করতে বাধ্য করছে।

অভিভাবকদের এসকল অভিযোগের সূত্র ধরে এস. এম. মডেল সঃ প্রঃ বিঃ ও  রাইজ এডুকেশন কেয়ার কোচিং এ সরেজমিন পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। কোচিং টিতে প্রধান শিক্ষক মাহাবুব মুন্সীর স্ত্রী সহকারী শিক্ষক রুকসানা আক্তার লিরা কে মডেম স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়াতে ও কোচিং পরিচালনা করতে দেখা গেছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের একটি গোপন সূত্রে জানা গেছে প্রধান শিক্ষক মাহাবুব মুন্সী গত ২০২৪ শিক্ষা বর্ষ এবং বর্তমান ২০২৫ শিক্ষা বর্ষে ১০ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়ে বেশ কয়েকটি শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে।

এ সকল অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মাহাবুব মুন্সী দৈনিক আমাদের কন্ঠ কে বলেন, আমরা যাদু বিদ্যা (ম্যাজিক) বই কেনার জন্য কোন শিক্ষার্থীকে চাপ দেয়নি। আগ্ৰহী শিক্ষার্থীরা নিজের ইচ্ছায় বই কিনেছে।

এবিষয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার পলাশ সর্দার জানান, এধরনের কোন ম্যাজিক বই শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করার সুযোগ নেই। যদি বিদ্যালয়টির শিক্ষকদের দ্বারা এমন

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement
Advertisement