শেখ লিটন আহামেদ:
ঢাকার দোহার উপজেলায় ডাকাতের গুলিতে ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন ১৫ জন। এ ঘটনায় ডাকাত সন্দেহে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের নিলুয়ার হোসেনের বাড়িতে ডাকাতিকালে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত দুইটার দিকে উপজেলার বিলাসপুর এলাকার চর কুতুবপুর নিলুয়ার হোসেনের বাড়িতে ২০/২৫ জনের ডাকাতদল হানা দেয়। ডাকাতেরা ওই বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রথমে নিলুর বাবা মায়ের কক্ষ থেকে ৭/৮ ভরি স্বর্ণ লুটে নেয়। ঘটনার শব্দ পেয়ে বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে উঠে আসে নিলু ও তার ছোট ভাই। এ সময় তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী লাঠি নিয়ে ডাকাতদের প্রতিরোধ করার চষ্টো করে। মুখোশ পরিহিত ডাকাতেরা তখন গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারী গুলি ছুঁড়ে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে প্রায় ১৫ জন আহত হয়। আহতদের দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা অবনতি হলে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। রাত দুইটায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দোহার থানা পুলিশ। পরে আটককৃত একজনকে থানায় নিয়ে আসে।
বাড়ির মালিক নিলুয়ার হোসেন বলেন, ডাকাতেরা একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার যোগে তাঁদের বাড়ির সামনে পদ্মা নদীর ঘাটে আসে। এরপর তাঁদের বাড়িতে হানা দেয়। ডাকাতদের ট্রলারটিও আটক করা হয়েছে। গ্রামবাসীর প্রতিরোধে ডাকাতরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ বায়েজিদ হোসেন বলেন, তাঁর শরীরে প্রায় ১০টা রাবার বুলেট লেগেছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বিশ্রামে আছেন।
গুলিবিদ্ধরা হলেন সোহেল ভান্ডারী (৪৫), মো. মাসুদ (১৮), এমডি রবিন (৩২), নুর মোহাম্মদ (২০), রিয়াজুল ইসলাম (৩৭), মো. সাহেব আলী ও বায়েজিদ হোসেন।
দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন, রাতে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক এক জনকে পাওয়া গেছে। ডাকাতের করা গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। বাদীর অভিযোগ পেলেই মামলা রুজু করা হবে।
দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম বলেন, খবর পেয়েই দোহার থানা ও নবাবগঞ্জ থানা পুলিশসহ আমি ঘটনাস্থলে যাই। এ ঘটনায় ডাকাত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত ঐ ব্যক্তি এ ঘটনার সাথে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।