শেখ লিটন আহামেদ, নবাবগঞ্জ
ঢাকার নবাবগঞ্জে গভীররাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্ত:জেলা ডাকাত চক্রের ১০ সদস্য গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এসময় ডাকাতদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ ও ডাকাতিকৃত মালামাল উদ্ধার করা হয়।
নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের বরাতে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দোহার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে থানার ওসি মো. মমিনুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আজগর হোসেনসহ থানা পুলিশের একটি দল উপজেলা সদর কায়কোবাদ চত্তরে চেকপোস্ট বসায়।
এসময় হলুদ নীল রংয়ের ট্রাক সিগন্যাল দিলে ট্রাকটি থেকে কিছু লোক পালানোর চেষ্টা করে। স্থানীয় জনতাসহ পুলিশ সদস্যরা ৬ ব্যক্তিকে আটক করে। পুলিশ ঐ ট্রাক তল্লাশি করে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি ভোল্ট কাটার, ১টি চাপাতি, কয়েকটি প্লাস্টিকের পাইপ, লোহার পেরেক, ১টি শাবল, কাঁচি, গরু বাঁধার রশি ও একটি বড় ত্রিপল জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার সোনাডাংগা ভাগুলী গ্রামের নাসির উদ্দিন ছেলে মোশারফ হোসেন ওরফে মুসা (২৯), একই উপজেলার পূর্ববাস্তা গ্রামের ছবর উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩২), একই উপজেলার চরখালীয়া গ্রামের মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৩৭), একই উপজেলার খাইলারচর গ্রামের মো. তমেজের ছেলে ইসমাইল হোসেন (২৮), ফরিদপুরের টেপাখোলা গ্রামের মৃত আবুল কাজীর ছেলে কামরুল কাজী (২৮), ব্রাহ্মনবাড়ীয়া সদরের চাঁনপুর গ্রামের মৃত নাসির মিয়ার ছেলে রাজীব মিয়া (২৫), একই জেলার নবীনগর উপজেলার বারাইল গ্রামের ইদনের ছেলে মো. মোমিন (৩২)।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা, মানিকগঞ্জ জেলা, ফরিদপুর জেলা, মুন্সিগঞ্জ জেলা সহ বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে থাকে বলে জানায়। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে ডাকাতি করা ৩টি খাসি ও ১টি গরু উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্যমতে নবাবগঞ্জের হাসনাবাদ গ্রামের সুজন ব্যাপারী (৩৫) গ্রেফতারসহ তার ফার্ম থেকে ডাকাতি করা ৩টি ছাগল উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য বাজারমূল্য ৪০ হাজার টাকা। তাদের দেয়া আরও তথ্য মতে সিংগাইরের চক চান্দুর (ঢালী বাড়ি)’র হাকিম ঢালীর ছেলে মো. তোতা ঢালী (৬২) ও তার ছেলে মো. রবিউল ঢালী (২৭) কে গ্রেফতার করাসহ তাদের বাড়ি থেকে ডাকাতি করা ১টি সাদা রংয়ের গরু উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
দোহার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলমের বরাতে জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় পেনাল কোড ৩৯৯/৪০২/৪১২ ধারা মামলা রুজু করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আসামী মোশারফ হোসেন ওরফে মুসা দেশের বিভিন্ন থানায় ৮টি ডাকাতি, ৮টি চুরি, ২টি মাদক, ১টি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামী। আসামী হাবিবুর রহমান ৩টি ডাকাতি, ১টি খুন, ১টি চুরি, ১টি মাদক মামলার আসামী।