বরগুনা প্রতিনিধি:
ছাত্র জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের দিন হামলা, ঘরবাড়ীতে ভাংচুর চালিয়ে অগ্নি সংযোগ ও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চাঁদাবাজি এবং গরু চুরি করা মামলায় বরগুনা জেলা ছাত্রদলের বহিস্কৃত সহ-সভাপতিকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে বরগুনা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
বরগুনা সদর উপজেলার ৫ নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ ইট বাড়িয়া গ্রামের আঃ খালেক মৃধা বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে চাঁদাবাজি ও গরু চুরির অভিযোগ এনে ১০ সেপ্টেম্বর বরগুনা থানায় মামলা করেন। মামলায় আরো ২০ থেকে ৩০ জন কে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত বহিস্কৃত ছাত্রদল নেতার নাম কামরুজ্জামান রাজ্জাক। গত ৫ আগষ্ট বিকেলে বরগুনা শহরের সিরাজ উদ্দিন সড়কের মদিনা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে ক্যাশ থেকে টাকা নেওয়ার ভিডিও ফুটেজ সত্যতায় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ গত ৮ সেপ্টেম্বর তাকে বহিষ্কার করে।
এবিষয়ে বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি তালিমুল ইসলাম পলাশ বলেন, বিএনপির সিদ্ধান্ত দল ও তার অঙ্গ সংগঠনের কেউ যদি দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে কোন ধরনের অন্যায় করে তার কোন অবস্থান দলে হবেনা। এব্যাপারে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট রাত এগারোটার সময় সদর উপজেলার ৫নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ ইট বাড়িয়া গ্রামে জনৈক আঃ খালেক মৃধার বাড়িতে ২০ থেকে ত্রিশ জন প্রবেশ করে পিস্তল ঠেকিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। ভুক্তভোগী ব্যক্তি চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে গ্রেপ্তারকৃত আসামি রাজ্জাক সহ অন্য সকল আসামীরা মারধর করে বাড়িঘর কুপিয়ে ভাংচুর চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। আসামিরা টাকা না পেয়ে এসময় পাঁচ লক্ষ টাকা মূল্যের চারটি গরু চুরি করে নিয়ে যায়।
এব্যাপারে মামলার বাদী আঃ খালেক মৃধা (৭২) মুঠোফোনে বলেন, আমি একজন কৃষক। আমার ছেলেরা গরুর ব্যবসা, মৎস চাষ ও পোনা উৎপাদন করে ব্যবসা এবং কৃষিকাজ করে তাদের সংসার চালায়। তারা কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত না। গ্রেপ্তারকৃত আসামি রাজ্জাক এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ।
এবিষয়ে বরগুনা সদর থানা অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বাদীর অভিযোগে গতকাল থানায় মামলা হয়েছে। এঘটনায় রাজ্জাক নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে গ্রেপ্তার অভিযান চলমান রয়েছে।
