বিশেষ সংবাদদাতাঃ
মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী। তিনি স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক সমাজকল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের জামাই। শ্বশুরের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০২৩ সালে জুলাই মাসে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে জিল্লুর লক্ষ্মীপুর ও চট্রগ্রামে ডিসি এবং খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) পদে কর্মরত ছিলেন। সে সময়কালে ফ্যাসিষ্ট সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে মড়িয়া ছিল। জিল্লুর স্থলবন্দরের সর্বোচ্চ চেয়ারে বসে অনৈতিকভাবে নিয়োগ দিয়ে আওয়ামীলীগ মণা সিণ্ডিকেট পরিণত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।সবশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তাণ্ডব চালানো ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সক্রিয় নেত্রী ফাতিমা খাতুন লাভলীকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয় ৮ই আগস্ট। চেয়ারম্যান তার ক্ষমতা অপব্যবহারে স্থলবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবারের লোকজনকে বসিয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদটি ভাগিয়ে নেয়ার পরে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের আনুকুল্যতায় প্রতিদান দিতে শুরু করেন। বন্দওে গুরুত্বপূর্ণ পদে দুই দফায় ১১৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নতুন নিয়োগের মাধ্যমে সংস্থাটিকে দুর্নীতির আতুরঘরে পরিনত করেছেন। ছাত্রলীগের পদধারীদের অনেককে নিয়োগের পাশাপাশি স্বেচ্ছাচারী চেয়ারম্যান নিজের ক্ষমতায় তার অনেক নিকট আত্বীয়কে নিয়োগের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে নিজস্ব পারিবারিক সংস্থায় পরিনত করেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর বেনাপোল স্থলবন্দরে উপ-পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম, উপ-পরিচালক রাশেদুল সজীব নাজির, ভোমরা স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক রুহুল আমিন-এর সাহায্যে শ্বশুর সমাজকল্যান মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আওয়ামীলীগ এর অনেক নেতা-কর্মীদের অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সুযোগ করে দেন তিনি।
ফ্যাসিবাদের পতনের দুইদিন পর ন্যাম ভবনও বাসায় সাবেক সমাজকল্যান মন্ত্রীর মালামাল আনতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের হাতে আটক হয় জিল্লুর রহমান চৌধুরী গাড়িসহ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের দুটি গাড়ি। সরকার পতনের আন্দোলন নস্যাত করার জন্য জুলাই-আগস্ট মাসে স্থলবন্দরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকল প্রকার ছুটি বাতিল করেন। তার এসব স্বেচ্ছাচারীতার ভিন্ন মতালম্বীদের এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বদলী, কারণ দর্শানো, সাময়িক বরখাস্ত গুরুতর শাস্তি প্রদান করেন।
জিল্লুর রহমান চৌধুরী এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এর ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণ প্রকল্পসহ স্থলবন্দরের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের লুটপাট, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঢাকাতে বসুন্ধরায়, সুনামগঞ্জে আলিশান বাড়ি, একাধিক আলিশান গাড়ি, মসজিদ-মাদ্রসার নামে অন্যের জমি দখল করে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করেছেন। নামে বেনামে অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। শুধু তাই নয় দুর্নীতি দমন কমিশনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালীদের কারণে তদন্তের মুখ দেখেনি। তার এ সকল স্বেচ্ছাচারীতা, দুর্নীতি, অপকর্মের জন্য স্থলবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় মারাত্মক বিস্ফোরন ঘটতে পারে। মূলবন্দরের কল্যাণ তহবিল থেকে বিভিন্ন সময় তার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় অনুদান (বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে) প্রদান করে যেটা সম্পূন বে-আইনি।