খেলাফত হোসেন খসরু,পিরোজপুরঃ
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় একটি ডাকাতিসহ হত্যা মামলায় ৫ জনকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ২০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারদন্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোক্তাগীর আলম এ আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন,ভান্ডারিয়ার শিয়ালকাঠী গ্রামের সুলতান হাওলাদারের পুত্র আঃ সালাম হাওলাদার (৫০),মহব্বত আলী মাঝির পুত্র আলমগীর মাঝি (৫৮), আঃ আজিজ ছেনু হাওলাদারের পুত্র আঃ মালেক হাওলাদার (৬৬),আঃ মজিদ মোল্লার পুত্র মোঃ ফিরোজ মোল্লা (৫৭) এবং আলফাজ হাওলাদারের পুত্র আইয়ুব আলী হাওলাদার (৫৮)। একই মামলায় অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় আদালত ওমান ফরাজী,মিল্লাত হোসেন মিলু,জাকির খলিফা,ফয়সাল,হেমায়েত হাওলাদার,মাসুম মৃধা ও মাসুদ মৃধা এই ৭জনকে খালাস দিয়েছেন। রায় ঘোষনাকালে ৬জন আসামী অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরনে জানাজায়, উপজেলার ভান্ডারিয়ার কাপালীরহাটে নুর মোহাম্মদ আকনের পুত্র মোঃ রফিকুল তার মুদি ও সাইকেল পার্সের দোকানে ঘটনারদিন ২০০৫ সালের ২মার্চ দিনগত রাত ১০টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ২টার পর হটাৎ দোকান ভাঙ্গার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলে উঠে বৈদ্যুতিক লাইট জ¦ালিয়ে দেখেন ১০/১২জন ডাকাত দলের সদস্যের মধ্যে ৩জন দোকানের ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে নগদ ১২ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ সময়ে রকিুল ডাকচিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে ডাকাতদের গুলিতে স্থানীয় আব্দুস ছামাদের পুত্র মিজানুর রহমান পেটে গুলি বিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে প্রথমে উপজেলা হাসপাতাল এবং এর পর বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসা চলাকালে মারা যান। এ ঘটনায় রকিুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা (ভান্ডারিয়া থানা মামলা নং-০৩,জি.আর ৭৮/০৫,ধারা ৩৯৬দঃবিঃ) করলে পুলিশ ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জসীট দেয়। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মোঃ ওয়াহিদ হাসান বাবু এবং আসামী পক্ষে এ্যাড. আহসানুল কবীর বাদল মামলাটি পরিচালনা করেন।