মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৪নং সিন্দুরখান ইউনিয়ন এর শ্রীগাঁও গ্রামে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী ও তার সহযোগীদের কবল থেকে রক্ষা পেতে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ভুক্তভোগী মো: জাফর আলী লিখিত বক্তব্য জানান- তরুন শিল্প উদ্যোক্তা ফ্রান্স প্রবাসী মো: হাফিজুর রহমান উপজেলার ষাড়েরগজ মৌজায় বাউন্ডারী ওয়াল দিয়ে ফার্মের কাজ শুরু করেন। ফার্মের দায়িত্ব প্রদান করা হয় তার বড় ভাই মুহিবুর রহমান ও খালাতো ভাই জাফর-কে ।
উক্ত ফার্মে শ্রমিকরা কাজ করতে গেলে শেখ জসিম উদ্দীন বাঁধা সৃষ্টি করে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। এবং দাবীকৃত টাকা না দিলে উক্ত ফার্ম ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেন। বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য লোকজনকে অবগত করা হলেও সমাধান না হওয়ার কারণে ফ্রান্স প্রবাসী মো: হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে শেখ জসিম উদ্দিন (৩৫), শেখ ওয়াসিম উদ্দিন (৩০), শেখ কবির উদ্দিন (৪০)সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জনকে আসামী করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, মৌলভীবাজার (সিআর- মোকদ্দমা নং- ৩৭৩/২০২৪ইং ( শ্রীঃ) দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলা তদন্তের জন্য পিবিআই,মৌলভীবাজার-কে নির্দেশ প্রদান করেন। চাঁদা দাবী ও ভয়ভীতি দেখানোর সত্যতা পেয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, সম্প্রতি দীর্ঘ তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট,২নং আমল গ্রহনকারী মৌলভীবাজার, আদালতে শেখ জসিম উদ্দিন-এর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। বর্তমানে উক্ত মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। শেখ জসিম উদ্দিন এর বিরুদ্ধে সিআর মামলা নং-৩৬৯/২৪ (শ্রীঃ), নির্বাহী ম্যাজিঃ আদালতে মামলা নং- ৩২০/২৪ (শ্রী ঃ), সাইবার মামলা নং- ২৪২/২৪ ( মামলার বাদী- মো: পারভেজ মিয়া) সহ একাধিক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন ও তদন্তাধীন রয়েছে। শেখ জসিম উদ্দীন প্রতিহিংসা পরায়ন ও হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে এবং তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা থেকে রেহাই পেতে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট ২নং আমলী আদালতে একটি রাজনৈতিক মামলা, ঘটনার তারিখ ও সময় ০৫/০২/২০১৮ইং, সময় : বিকাল ৫ ঘটিকা, স্থান : শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা উল্লেখ করে ( মোং- নং- সিআর- ৫৫/২০২৫ইং, (শ্রীঃ) দায়ের করে। স্বৈরশাসক সরকারের সাবেক কৃষিমন্ত্রী মো: আব্দুস শহিদ (৭০)-কে ১নং আসামীসহ মোট ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০জন-কে আসামী করা হয়। জাফরকে আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড সদস্য হিসাবে লিপিবদ্ধ করে ১০নং আসামী, (সাইবার মামলা নং- ২৪২/২৪ইং মামলার বাদী) মো: পারভেজ মিয়া-কে ১২নং আসামী, ফ্রান্স প্রবাসী মো: হাফিজুর রহমান-এর বোন জামাই মো: নুরুল ইসলাম (৪০)-কে ১৩নং আসামী, তরুন শিল্প উদ্যোক্তা ফ্রান্স প্রবাসী (জসিমের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত মামলার বাদী) মো: হাফিজুর রহমান-কে আওয়ামীলীগের সদস্য হিসাবে লিপিবদ্ধ করে ১৬নং আসামী, তার বড় ভাই মহিবুর রহমান (জসিমের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত মামলার স্বাক্ষী)-কে ১৭নং আসামী, চাচাতো ভাই (স্বাক্ষী) মো: দুলাল মিয়া-কে ২৩নং আসামী, বোন জামাই (জসিমের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত মামলার স্বাক্ষী) মো: শিপন মিয়া-কে ২৪নং আসামী ও গাঁছের সাথে চোঁখ বেঁধে নির্যাতন ও ভিডিও ধারন এর ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদী মো: রাজন মিয়াকে ২৫নং আসামী উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত উক্ত রাজনৈতিক মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), মৌলভীবাজার-কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।
লিখিত বক্তব্য আরো জানান- শেখ জসিম বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের এর ঘটনার তারিখ ও সময় ০৫/০২/২০১৮ইং, উল্লেখ করেছে। অথচ, সেই সময় ১৬নং আসামী, তরুন শিল্প উদ্যোক্তা ফ্রান্স প্রবাসী মো: হাফিজুর রহমান- ফ্রান্স অবস্থান করেন। ২নং আসামী মো: সানুর মিয়া সৌদি আরব দেশে অবস্থান করেন। জাফরকে আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড সদস্য হিসাবে লিপিবদ্ধ করে ১০নং আসামী উল্লেখ করা হয়। অথচ, তিনি উক্ত দলের কোন সদস্য নয়। স্বেরশাসক আওয়ামীলীগ সরকারের লোকজনদের হাতে জাফর ও তার পরিবার একাধিক নির্যাতন ও জুলুম এর শিকার হয়েছেন। ১২নং আসামী মো: পারভেজ মিয়া (জসিমের বিরুদ্ধে সাইবার আদালতে দায়েরকৃত মামলার বাদী), ১৩নং আসামী মো: নুরুল ইসলাম ফ্রান্স প্রবাসী মো: হাফিজুর রহমান এর বোন জামাই (জসিমের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত মামলার স্বাক্ষী), ১৭ নং আসামী ফ্রান্স প্রবাসী মো: হাফিজুর রহমান এর বড় ভাই মহিবুর রহমান (জসিমের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত মামলার স্বাক্ষী), ২৩নং আসামী দুলাল মিয়া তার চাচাতো ভাই, ২৪নং আসামী মো: শিপন মিয়া (জসিমের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত মামলার স্বাক্ষী) ও ২৫নং আসামী করা হয়েছে গাছের সাথে চোঁখ বেঁধে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ এর ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদী মো: রাজন মিয়াকে। উক্ত মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), সম্প্রতি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, দীর্ঘ তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট,২নং আমল গ্রহনকারী মৌলভীবাজার, আদালতে শেখ জসিম উদ্দিন-এর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। বর্তমানে মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
শেখ জসিম উদ্দীন-বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর অঙ্গ সংগঠন জাসাসের মৌলভীবাজার জেলার সাবেক যুগ্ন সম্পাদক ও বর্তমানে শ্রীমঙ্গল থানা আহবায়ক কমিঠির সদস্য পরিচয় দিয়ে হয়রানী ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মো: জাফর আলীসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্থরা। শেখ জসিম উদ্দীন এর কবল থেকে রক্ষা পেতে নৈতিক সহযোগীতা, রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা প্রাপ্তি, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সকলের সহযোগীতা কামনা করেন ভুক্তভোগীগন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মো: মহিবুর রহমান,মো: জাফর মিয়া, মো: দুলাল মিয়া, মো: সাজিদ মিয়া, মো: সাহানুর মিয়া প্রমুখ।