শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক, ট্রেনার ও অভিভাবকের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন -প্রাথমিক গণশিক্ষা উপদেষ্টা

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

রফিকুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ

শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটানো, শতভাগ ভর্তি নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীতে পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দৃষ্টিনন্দন বহুতল নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আজ ঢাকায় মিরপুরস্থ লালকুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে লালকুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিশুরা পরিবেশ থেকে  সবকিছু গ্রহণ করে। সুন্দর স্থাপনা মনকে প্রভাবিত করে‌ এ উদ্দেশ্যে দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পের কাজ চলমান। এখন ঢাকায় দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। ঢাকার বাহিরে সিটি কর্পোরেশন ও  মিউনিসিপ্যাল এলাকায়ও পরবর্তীতে দৃষ্টিনন্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করা হবে।  শিশুরা শুধু বই পড়ে শিখে, তা নয়। তারা স্কুলে অন্য শিশুদের সাথে মিশে। স্কুলের সামগ্রিক কার্যক্রম দেখে শিখে। সবচেয়ে বেশি শেখে  অভিভাবকদের থেকে। কারণ শিশুরা অভিভাবকদের সাথে বেশি সময় থাকে। দৃষ্টিনন্দন স্কুল করার পাশাপাশি শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক, ট্রেনার ও অভিভাবকদের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। এখন অবকাঠামো অনেক ভালো হচ্ছে। শিশুদের শিক্ষার মান ভালো হবে। আগের চেয়ে অনেক স্কুলের অবকাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে। শিশু শিক্ষার মান যে পর্যায়ে চাই, সে পর্যায়ে এখনো পৌঁছতে পারিনি। প্রাথমিক শিক্ষায় সমস্যা হলে শিশুরা হাইস্কুলে ভালো করতে পারে না। সবাইকে নিয়ে ভালো করতে হবে। না হলে জনসম্পদে পরিণত করা যাবে না আমরা প্রাথমিক শিক্ষার উপর জোর দিচ্ছি। একজন শিশু ভালো মত লিখতে, পড়তে, বলতে পারবে; যোগ বিয়োগ গুন ভাগ করতে পারবে এসব বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিচ্ছি।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশিদ ও প্রকল্প পরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান।

দৃষ্টিনন্দনভাবে নির্মিত পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন হল- মিরপুর এক নম্বর সেকশনের মাজার রোড সংলগ্ন ‘লালকুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন’; মিরপুর সাত নম্বর সেকশনস্থ ‘আনন্দ নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন’;   ঢাকার বাড্ডাস্থ আলাতুনন্নেসা হাই স্কুল সংলগ্ন ‘ভোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন’; ডেমরার কোনাপাড়া রোডস্থ ‘পাড়াডগার মান্নান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন’ এবং গুলশানস্থ মাস্টারবাড়ী বাজার-আটিপাড়া রোড সংলগ্ন ‘মুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন’।

এ পাঁচটি ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৭কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। পাঁচটি ভবনের মধ্যে চারটি ছয় তলা এবং একটি ছয় তলা ভিতবিশিষ্ট চারতলা ভবন। এগুলোতে

শ্রেণীকক্ষ ও শিক্ষক কক্ষ মিলে

১১৬টি কক্ষ রয়েছে। ওয়াস ব্লক রয়েছে ১২২টি। বিদ্যালয়গুলোর নতুন ভবনে ছাত্র-ছাত্রীর মোট ধারণ ক্ষমতা ৪,০০০।

উল্লেখ্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন “ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ঢাকা মহানগরীর ১২টি থানায় ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৪টি নতুন বিদ্যালয়সহ (উত্তরাতে তিনটি ও পূর্বাচলে ১১টি) মোট ৩৫৬ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামগত উন্নয়নের জন্য ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মেয়াদ জানুয়ারি ২০২০ হতে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত। এ প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ছিল ১,১৫৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের কাজ তরান্বিত করতে দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। পরবর্তী একনেক বৈঠকে প্রকল্পটি উঠবে।

শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীর ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫৪টি বিদ্যালয়ের ২,৯৭৫টি কক্ষ নতুনভাবে নির্মাণ এবং উত্তরাতে তিনটি ও পূর্বাচলে ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুনভাবে স্থাপন উক্ত প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত।

স্কুলগুলোর বাস্তবায়নকারী সংস্থা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং নির্মাণকারী  সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।

Advertisement
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement
Advertisement
Advertisement