নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা ২২ ডিসিকে বাধ্যতামূলক অবসর পাঠিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে তাঁরা হলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এর সচিব মোঃ কামরুল হাসান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিএ) এর নির্বাহী সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, মিনিস্টার লেবার (অতিরিক্ত সচিব), বাংলাদেশ দুতাবাস, আবু ধাবি, ইউএই মোঃ আব্দুল আওয়াল, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) তন্ময় দাস ,বাংলাদেশ জাতীয় বিজ্ঞান ও কারিগরি তথ্য সংগ্রহ ও বিতরণ কেন্দ্র (ব্যান্সডক) এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ শওকত আলী ,বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস এর কপিরাইট নিবন্ধক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ তোফায়েল ইসলাম, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। অতিরিক্ত সচিব এনামুল হাবীব, শিল্প মন্ত্রণালয় এর সিনিয়র সচিব মিজ জাকিয়া খানম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (উপসচিব) আহমেদ কবির, পরিকল্পনা বিভাগ এর অতিরিক্ত সচিব আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান ,জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) এস এম আলম, পরিসংখান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ-এর অতিরিক্ত সচিব মোঃ হামিদুল হক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) মিজ সায়লা ফারজানা ,বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ এর অতিরিক্ত সচিব ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস ,মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এর অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (সংযুক্ত) ফয়েজ আহাম্মদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) রাব্বী মিয়া,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটিডি)-এর অতিরিক্ত সচিব মিজ কামরুন নাহার সিদ্দীকা, ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) মিজ উম্মে সালমা তানজিয়া ,জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সচিব) আবু হেনা মোরশেদ জামান, কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ মাসুদ করিম।
এর আগে গতকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। এই ৩৩ জন যুগ্মসচিব পদে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এর আগেও একই কারণে ১২ জন কর্মকর্তাকেও ওএসডি করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। চৌদ্দর নির্বাচনে নজীরবিহীনভাবে ১৫৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একাই ২৩৪টি আসন পায়।
অন্যদিকে, ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়েও অনেক প্রশ্ন ও বিতর্ক রয়েছে। সেই নির্বাচনে সকল দল অংশগ্রহণ করলেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একচেটিয়াভাবে নির্বাচন করার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি, জালভোট, কেন্দ্র দখল, ভোটে বাঁধা দেয়া ইত্যাদি অভিযোগও ওঠে। সেই নির্বাচনে ২৫৮টি আসনে জয় পায় আওয়ামী লীগ।