নিসা আক্তার দিনা, গোপালগঞ্জ
দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকায় “গোপালগঞ্জে স্কুলে অনিয়মের রাজত্ব শিক্ষক দম্পতির” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর দুটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৮ এপ্রিল) গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নিবার্হী অফিসার ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিষয়টি সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার এম. রকিবুল হাসান ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোছাঃ জ্যোৎস্না খাতুন আমাদের কন্ঠ কে নিশ্চিত করেছেন।
আমাদের কন্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে বিভিন্ন ভুক্তভোগী অভিভাবক ও বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক শিক্ষিকাদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছিল, গোপালগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী সীতানাথ মথুরানাথ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মাহবুব মুন্সী ও তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা রুকসানা আক্তার রিলা ফ্যাসিস্ট রুপ ধারণ করেছে। এছাড়াও এই শিক্ষক দম্পতি তাঁদের প্রতিষ্ঠিত কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে বাধ্য করা, কোচিং এ ভর্তি না হলে খারাপ ব্যবহার সহ পরিক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখানো। ইংলিশ এভরিডে নামক গাইড কিনতে নির্দেশ দিয়ে লাইব্রেরী থেকে আর্থিক সুবিধা নেওয়া। ৫ম শ্রেণী থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রত্যায়ন পত্র বা টিসি দিতে ৩শত হতে ১ হাজার পর্যন্ত টাকা আদায়, বিভিন্ন শ্রেণীতে আসন বাড়িয়ে ১০হাজার হতে ২০হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নিয়ে ভর্তি করা, আইডি কার্ড তৈরির নামে বাড়তি টাকা আদায় করে ভোগ করা, ভারতীয় যাদুবিদ্যার বই কিনতে বাধ্য করে মধ্যস্বত্ত্বভোগী হওয়া, গোপনে স্কুল বাগানের ফল (কাঁঠাল) বিক্রয় করে টাকা আত্মসাৎ, শিক্ষা অধিদপ্তর সহ অন্যান্য দপ্তর থেকে পাওয়া বিদ্যালয় উন্নয়নের বরাদ্দ খরচ না করে আত্মসাৎ করা সহ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সহকারী শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল।