নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সম্প্রতি এডভোকেট মাকসুদা খাতুনের ওপর চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তার মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণদল-(বিএনপিপি )এর সিনিয়র সহ-সভাপতি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এবং ঢাকা বার এসোসিয়েশনের সদস্য এডভোকেট মোছাঃ মাকসুদা খাতুনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করার উদ্দেশ্যে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সম্প্রতি
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলায় আদমপুর বাজারে আলী নেওয়াজের বাড়ির পশ্চিম পাশে এডভোকেট মোছাঃ মাকসুদা খাতুনের স্বামী মোঃ নাজমুল হুসাইন মুন্সীর ক্রয়কৃত জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মান করার সময় ৮/৯ জনের স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীচক্র বে-আইনীভাবে জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করার উদ্দেশ্যে তার উপর অতর্কিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে এলোপাথারী ভাবে তার মাথায় কুপিয়ে তাকে গুরুতর ভাবে জখম করে।
জানা যায়, এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মদদ দাতা মোঃ সাদ্দাম হোসেন, পিতা- মৃত শামসুল হক, গ্রাম: আদমপুর, থানা : মহেশপুর, জেলা: ঝিনাইদহ, আঃ মালেক, পিতা- আঃ বারেক, আঃ সালাম পিতা- ইউছুফ আলী , আহমেদ আলী , শতশত আলী , লেয়াকত আলী- পিতা- সামছুল হক , আবদুল ওহাব ও আলী আহমেদ পিতা- রোছমত আলী , আলমগীর পিতা-আলী আহমেদ , সিরাজ সরদার পিতা -অজ্ঞাত , রিনা সরদার পিতা- সিরাজ সরদার বড়খানপুর, চৌগাছা, যশোহর। আহাম্মদ আলীর হুকুমে এডভোকেট মোছাঃ মাকসুদা খাতুনকে খুন করার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালায় । হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলো পাথারী ভাবে তার মাথায় কুপিয়ে তাকে গুরুতর ভাবে জখম করে এবং ইট , রড, ভেলচা দিয়ে পিটিয়ে বামহাত ভেঙ্গে দেয় এবং বুট জুতা দিয়ে চটকায় এবং লাথি, কিল, ঘুশি মেরে আঘাত করে তার মেরুদন্ড, কোমর ও বাম পা মারাত্বক ভাব আহত করে। তার হাত পা অকার্যকর করে দেয় । সন্ত্রাসীরা তার গলায় ব্যবহৃত একটি সোনার চেইন, একটি হাতের সোনার ব্যাচলেট এবং একটি ১১ প্রো আইফোন নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাকে মহেশপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে জরুরী ভাবে যশোহর সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেস কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয় । সে এখন পর্যন্ত উঠে দাঁড়াতে পারছেন না । ঢাকা মিডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এই ঘটনায় ৯ জন পরিকল্পনাকারী ও হামলাকারী সন্ত্রাসী চিহ্নিত হয়েছে এবং অজ্ঞাত ৪/৫ সন্ত্রাসীসহ মহেশপুর থানায় একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয়েছে। মহেশপুর উপজেলা মামলা নং ৭৫/৭৪৩, এখন পর্যন্ত এ্যাডঃ মোছাঃ মাকসুদা খাতুনের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীরা কেঁউ গ্রেপ্তার হয়নি । সাতজন আসামী মহেশপুর উপজেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রিয়াদ হাসান এর আদালত থেকে অজামিন যোগ্য ৩০৭ ও ৩২৬ ধারা উপেক্ষা করে জামিন নিয়ে এলাকায় দাপটের সাথেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়ে কোন কথা বললে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য ভুক্তভোগী পরিবারকে জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে চলেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ এবং আতংক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।