ওসি মহিদুলের মিথ্যা মামলায় নিঃস্ব সাংবাদিক ফিরোজ হোসেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপ চান

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

স্টাফ রিপোর্টার:

সাতক্ষীরা সদর থানার সদ্য সাবেক ওসি মহিদুল ইসলামের মিথ্যা ও সাজানো মামলা থেকে মুক্তি চান সাংবাদিক ফিরোজ হোসেন। দীর্ঘ ১ বছর মিথ্যা মামলার হাজীরা দিতে আদালতের বারান্দায় ঘুরে ঘুরে নিঃস্ব হয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে সাংবাদিক ফিরোজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

সাংবাদিক ফিরোজ হোসেন জানান, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে বিরোধী দলের আন্দোলন দমন করতে ওসি মহিদুল এর নেতৃত্বে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জুড়ে চালানো হয় ব্যপক ধড়পাকর। রাজপথের প্রধান বিরোধী দলগুলোর বিভিন্ন দাবিদাওয়া দৈনিক লাখোকন্ঠ এবং স্থানীয় পত্রিকায় তুলে ধরার কারণে আমার নামে দেওয়া হয় গায়েবী মামলা নামে পরিচিত নাশকতার মামলা। আমি ২০২৩ সালের ৩১ শে জুলাই শহরের ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল থেকে বিকাল ৩ টার দিকে আমি (সাংবাদিক ফিরোজ হোসেন) ও দৈনিক সাতক্ষীরার সকাল পত্রিকার প্রতিনিধি শাহাজাহান আলীকে থানায় নিয়ে যায় সদর থানার এসআই হাসানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স। তৎকালীন ওসি মহিদুল, তদন্ত ওসি নজরুল ইসলাম রাতে আমাদের দুই সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর মোবাইল চেক করে ওসি মুহিদুল বলতে থাকে- তোমরা বিএনপি জামায়াতের নিউজ করো? আরো বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেন তিনি। এক পর্যায়ে আমি বলি, আমরা সাংবাদিকতা করি এর বেশি কিছু নয়। তখন ওসি মহিদুল বলে ওঠেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোদের দুইজনকে গুলি করে মেরে দেবো। তোদের গুলি করে মেরে দিলে সরকার আমাকে প্রমোশন দেবে। এর মধ্যে হঠাৎ করে থানায় আসে সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলতে শুরু করেন, তোমরা বিএনপি জামায়াতের নিউজ করো? জামায়াত বিএনপির সাথে কয়েকদিন জেলখানায় ঘুরে আসো।

সাংবাদিক ফিরোজ হোসেন বলেন, ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই শহরের নারিকেলতলায় অবস্থিত ইসলামী হাসাপাতাল থেকে বিকাল ৩ টার দিকে এসআই হাসানুর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা ওসি মহিদুলের কথা বলে আমাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পরে ওসি মহিদুল ইসলাম ২২শে জুন রাত সাড়ে ৮ টায় শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা হতে আটক দেখিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠায়। অবাক করার বিষয় হলো ২০২৩ এর ৩১ জুলাই ইসলামি হাসপাতাল থেকে আমাকে ও শাহাজাহান আলীকে থানায় নেওয়া হলেও মালায় বলা হয় তাদের ২০২৩ সালের ২২ জুন শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেটির ভিডিও আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। দীর্ঘ ২৫ দিন জেলখেটে জামিনে বের হলেও ১ বছরের বেশি সময় ধরে মিথ্যা মামলায় এখনো আদালতের বারান্দায় ঘুরছি। আমি মিথ্যা মামলায় আদালতে হাজীরা দিতে দিতে নিঃস্ব।

অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে ওসি মহিদুল ইসলাম, তদন্ত ওসি নজরুল ইসলাম, ও সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারসহদোসীদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থাগ্রহনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সাংবাদিক ফিরোজ হোসেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *