কক্সবাজার প্রতিনিধি :
কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালীতে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে এক গ্রাম পুলিশের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তাঁর পরিবারের ২ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে গ্রাম পুলিশ শহিদুল আলমকেও। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সদর উপজেলার ভারুয়াখালীর আনোমিয়ার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রাম পুলিশ শহিদুল আলম বলেন,নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ইউনিয়ন সভাপতি সহ একদল সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে আমার পরিবারের কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাদের দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভারুয়াখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জিয়াউল হক জিমন এর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্র ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়ি ভাংচুর ও ঘরের মূল্যবান মালামাল সহ নগদ ৩ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় আমি ও আমার মা এবং খালা বাঁধা দিলে সন্ত্রাসী ধারালো কিরিচ ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আমিসহ আমার মা ও খালাকে গুরুতর আহত করে বীরদর্পে চলে যায়। পরে স্হানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। মা ও খালা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেয়া হলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই তানভীর হোসেন এর নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
হামলাকারীরা হলেন,ভারুয়াখালী ৬ নং ওয়ার্ডের পূর্ব করিম সিকদার পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল মালেকের ছেলে নবী হোসেন ও দিল হেসেন,নুরুল আলমের ছেলে আব্দুল হামিদ ও আব্দুল মজিদ,হাজী সোলাইমান এর ছেলে আমিনুল্লাহ ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আমানউল্লাহ,মনির আহাম্মদ এর ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জিয়াউল হক জিমন,আব্দুল মালেকের ছেলে নাজির হোসেন,আব্দুর রশিদের ছেলে নুরুল আলম ও গিয়াস উদ্দিন সহ অজ্ঞাত আরও ৩০/৪০ জন।
হামলায় আহতরা হলেন, ভারুয়াখালী ৭ নং ওয়ার্ডের ঘোনারপাড়ার বাসিন্দা মৃত শফিউল আলমের স্ত্রী ছকিনা আক্তার (৪৪)মোহাম্মদ হোসেন এর মেয়ে মালেকা বেগম (৩৫)ও মৃত শফিউল আলম ছেলে গ্রাম পুলিশ শহিদুল আলম (২২)
আহতদের পরিবার হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে কক্সবাজার পুলিশ সুপার সহ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সহযোগিতা কামনা করেছেন।