কলাপাড়ায় স্বামীর টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে উধাও স্ত্রী, সাবেক মেম্বারসহ ৪ জনের নামে মামলা

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

এস এম আলমগীর হোসেন, কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পরকীয়া জেরে স্বামীর টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে পালিয়ে গেলেন স্ত্রী চাম্পা বেগম। অভিযোগের তীর সাবেক মেম্বার এর বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চাকামইয়া গ্রামে।

এঘটনায় স্বামী মোঃ বেল্লাল হাওলাদার (৩৩) বাদী হয়ে সাবেক ইউপি সদস্য মোখলেছ গাজী (৩৮), পিতা- মৃতঃ শাহজাহান গাজী, চাম্পা বেগম (৩০), পিতা- আঃ রশিদ, আঃ হাকিম মুসুল্লী (৩৫), পিতা- সেলিম মুসুল্লী, মোঃ দেলোয়ার হাওলাদার (৪৫), পিতা- মৃতঃ আঃ কাদের হাওলাদার কে আসামি কলাপাড়া উপজেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত একটি মামলা দায়ের করেছে।

মোঃ বেল্লাল হাওলাদার মামলায় উল্লেখ বলেন, চাম্পা বেগম আমার বিবাহীত স্ত্রী। ১২/১৩ বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়া মতে আমার বিবাহ হয়। একটি কন্যা সন্তান নাম ফাতিমা আক্তার চাঁদনী বয়স ৯ বছর। আমি আমার স্ত্রীর নামে ০.৩৩ একর ভূমি সাব কবলা দলিল করে দেই। আমি জীবন ভীবিকার তাগিদে নিজ বাড়িতে না থেকে চট্টগ্রামে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। ১নং আসামী মোখলেছ গাজী সেই সুযোগে আমার অনুপস্থিতিতে প্রায় আমার বাড়িতে ৩ ও ৪নং আসামীদের কু-পরামর্শে আসা যাওয়ার সূত্র ধরে ১নং আসামী আমার স্ত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত।

তিনি আরো বলেন, আমার আত্মীয় স্বজন ও এলাকার প্রতিবেশী ঘটনার বিষয় জানিয়ে আমাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অবগত করে আমি আমার স্ত্রীকে মোবাইলের মাধ্যমে ১, ৩, ৪ নং আসামীকে আমার বাড়িতে আসতে নিষেধ করি। ০১/০৮/২০২৪ দুপুর ২ টায় ১/২ আসামী শলাপরামর্শ করে আমার বসত ঘরে খাটের উপরে অবৈধ ভাবে যৌন সহবাস করতে থাকলে আমার বোন টের পেয়ে হাতে নাতে ধরে ফেলে এবং ডাক চিৎকার করলে মোখলেছ গাজী জানালা ভেঙ্গে পিছন দিয়ে পালিয়ে যায়। আমার বোন বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমাকে জানাইলে আমি চট্টগ্রাম থেকে পরের দিন বাড়িতে এসে মোখলেছ গাজী কে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে আমার স্ত্রী আর তার সাথে পরকীয়া সম্পর্ক রাখবে না বলে জানায়। অতঃপর আমি ২নং আসামীর পিতা সহ স্থাণীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানাই। অতঃপর ৫নং সাক্ষী আমার শশুর আমার বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীকে ভবিষ্যতে সমস্ত অপকর্ম হতে নিজেকে রক্ষা করে চলতে বলে এবং শান্তিপূর্ন ভাবে ইসলামী নিয়ম কানুন মানিয়া সংসার করতে বলে।ঘটনার দিন আমি বাজার করার উদ্দেশ্যে কলাপাড়ায় আসলে সেই সুযোগে মোখলেছ গাজী আমার স্ত্রীর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ১নং আসামী আঃ হাকিম মুসুল্লী ও মোঃ দেলোয়ার হাওলাদার কে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে মোখলেছ গাজী কে সাথে নিয়ে জমি ক্রয় করার জন্য আমার ঘরের আলমারীতে রক্ষিত ৩,৫০,০০০/- টাকা, স্বর্ণের আংটি ৪টি ওজন ১ ভরি, স্বর্নের চেইন ২টি ওজন ১ ভরি, আমার মেয়ের কানের দুল এক জোড়া ওজন ৮ আনা, হাতের ব্যাচলেট ১টি ওজন ৮ আনা সহ আমার মূল্যবান দলিল পত্র নিয়ে পালিয়ে চলে যায়। আমি খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক বাড়িতে আসি ঘটনার আলামত দেখি এবং ঘরে ঢুকে আলমারীর তালা খোলা দেখিতে পেয়ে আলমারীর দরজা খুলিয়া উল্লেখিত টাকা ও স্বর্নালংকার না দেখে আমার স্ত্রীকে ফোন করি। সে আমার ফোন না ধরিলে আমি আমার শশুর কে বিষয় জানাই। আমার শশুর এসে দেখে ও শোনে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য মোখলেছ গাজীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্য দেয়া হয়নি।

 

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement
Advertisement