খেলাফত হোসেন খসরু, পিরোজপুর:
পিরোজপুরের কাউখালীতে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম পাগলা ঘোড়ার মত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বাজার মনিটরিং দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম অধিক মূল্যে বাড়িয়ে বিক্রি করছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে দক্ষিণ বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি সবজির দাম গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আসা ক্রেতারা বলেন, সবজির দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের পক্ষে কিনে খাওয়া সম্ভব হবে না।
ভুক্তভোগী ক্রেতারা অভিযোগ করেন, বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ার কারণে বিক্রেতারা ইচ্ছামতো বেশি দামে সবজিসহ সকল প্রকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। ১ কেজি কাঁচা মরিচ ৫০০ টাকা, গাজর ২০০ টাকা, বরবটি ১৪০ টাকা, কাকরোল ১০০ টাকা, বেগুন এক কেজি ১৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কচুর গাডি ৭০ টাকা, মূলা ৭০ টাকা, পাতাকপি ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৭০ টাকা, রেহা ৮০ টাকা, শসা ৯০, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, এক হালি কাঁচাকলা ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, পটল ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট সাইজের একটি লাউ ৮০/১০০, ছোট এক মোটি লাউ শাক ৫০ টাকা, লাল শাকের আঁটি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা বেল্লাল হোসেন বলেন, আমাদের স্থানীয় পর্যায়ে সবজির উৎপাদন কম। অতিবৃষ্টির কারণে সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সবজি বিক্রিতা রতন পাল জানান, মোকামে সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বেশি। ক্রেতা ওমর ফারুক জানান, যেভাবে বাজারে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। আমাদের পক্ষে এত দাম দিয়ে সবজি কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
দিনমজুর আবুল হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, মাছ, মাংস ও ডিম কেনা আগে থেকেই বন্ধ করে দিয়েছে। এখন একটু সবজি দিয়ে কোনোমতে দুইটা ভাত খাই তাও মনে হয় বন্ধ হয়ে যাবে। এই দুঃখ কষ্টের কথা কারে কমু।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, আমরা বাজার দর পর্যবেক্ষণ করছি। মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করছি। যে সকল ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সকল প্রকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যর দাম বাড়িয়ে বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।