নিউজ ডেস্কঃ
আসাদ সরকারের অবসান ঘটিয়ে সিরিয়ায় এক নতুন ইতিহাসের সূচনা করলো এইচটিএস বিদ্রোহীরা। গত রবিবার ৮ই ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে বিদ্রোহীরা বলেছে, সিরিয়া এখন মুক্ত। জালিম শাসক আসাদ পালিয়েছেন। তার সরকারের পতন ঘটেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “জালিম শাসনের অধীনে ৫০ বছরের নিপীড়ন এবং ১৩ বছরের অপরাধ, অত্যাচার, বাস্তুচ্যুতি এবং দীর্ঘ সংগ্রামের পরে, সমস্ত ধরনের দখলদার বাহিনীর মোকাবেলা করার পর আমরা ঘোষণা করছি, সেই অন্ধকার যুগের সমাপ্তি ঘটেছে। সিরিয়ার জন্য নতুন যুগের শুরু হয়েছে।” আসাদ সরকারের পতনের এই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছে বিদ্রোহী দল হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস), যাদের সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে লড়াই করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এর আগে বিদ্রোহীরা সিরিয়ার তৃতীয় বৃহৎ নগরী হোমসের দখল নেয়। এরপরপরই তারা দামেস্কে প্রবেশ করার কথা জানায়।
সিরিয়ার নেতৃত্ব কে নেবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এইচটিএসের নেতা আবু মোহাম্মাদ আল–জোলানি একটি বিবৃতিতে ঘোষণা করেছেন, “সরকারি প্রতিষ্ঠান সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল-জালালির তত্ত্বাবধানে থাকবে, যতক্ষণ না সেগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।” জোলানির বিবৃতিতে আরোও বলা হয়েছে, “আমরা অন্ধকার অতীতের পৃষ্ঠা উল্টে নতুন ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছি। মুক্ত সিরিয়া সব ভ্রাতৃপ্রতিম ও মিত্রদেশের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মান ও স্বার্থের ভিত্তিতে সম্পর্ক গভীর করতে চায়। আমরা অঞ্চল এবং বিশ্বে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য একটি গঠনমূলক ভূমিকা পালনের লক্ষ্য রাখব।”
বাশার আল-আসাদের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পরও মোহাম্মদ গাজি আল-জালালিকে দায়িত্বে রাখার মধ্য দিয়ে বিদ্রোহীরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনের ইঙ্গিত দিয়েছে। মোহাম্মদ গাজি আল-জালালি জানিয়েছেন, তিনি দামেস্কে তাঁর বাসভবনে অবস্থান করছেন এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ ঘোষণা সিরিয়ার জনগণের মধ্যে ঐক্য ও ন্যায্যতার প্রতি বিরোধী গোষ্ঠীর প্রতিশ্রুতি এবং ভবিষ্যতের একটি স্থিতিশীল সমাজ গঠনের লক্ষ্যে তাদের দৃঢ় অবস্থান প্রদর্শন করছে।