রাজশাহী ব্যুরো :
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগষ্ট স্বৈরশাষক শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাপাত্তা। এতে করে পরিষদের কার্য্যক্রমে ভাটা পড়েছে ও সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জনসাধারণ। তবে আত্মগোপনে থাকা ৪টি পরিষদের সচিবদের দাবি চেয়ারম্যানরা অনুপস্থিত থাকায় পরিষদের কার্যক্রম চলমান রাখতে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। জরুরী কাগজপত্রের স্বাক্ষরসহ জরুরী কাজে প্রশাসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তা সমাধান করা হচ্ছে। এতে কিছুটা হলেও সেবা পাচ্ছেন জনসাধারণ। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ পরিষদে চেয়ারম্যান না আসায় ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারন মানুষ।
জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ৪টি পরিষদের চেয়ারম্যান চলে যান আত্মগোপনে। তারা হলেন, উপজেলার সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, ভায়ালক্ষিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ প্রামানিক ও সরদহ ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হাসানুজ্জামাস মধু এবং শলুয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। অভিযোগ রয়েছে এই ৪জন ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাবেক চারঘাট-বাঘার এমপি আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলমের একান্ত আস্থাভাজন।ফলে শাহরিয়ার আলমের আত্মগোপনের পাশাপাশি তারাও রয়েছেন আত্মগোপনে। জনরোষের হাত থেকে বাঁচতে তারা আত্মগোপনে আছেন বলে দাবি করেন নাম প্রকাশে আওয়ামী লীগের একাধিক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। আর আত্মগোপনে থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে দেখা দিয়েছে অচালাবস্থা। জরুরী ভিত্তিতে জননিবন্ধন, নগরিকত্বসহ বিভিন্ন কাজে পরিষদে গিয়ে দেখা মিলছে না চেয়ারম্যানদের। এতে জনসাধারণের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ দিকে পরিষদে না আসায় দুটি পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও দুটি পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে পরিষদের কার্যক্রম চলামান রয়েছে বলে দাবি পরিষদের সচিবদের।
এ বিষয়ে চারঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রাফি আহমেদ বলেন, পরিষদের চেয়ারম্যান না থাকলে একটু জটিলতা হবেই। তবে চারঘাট সদর ইউপিতে প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আরিফ হোসেন। জরুরী প্রয়োজনে ভুমি অফিসে গিয়ে স্যারের সঙ্গে দেখা করে পরিষদের কার্য্যক্রম চলামান রাখছি। শলুয়া ইউনিয়নের সচিব নাজমুল হক জানান, সবধরনের কার্যক্রম চলমান আছে, তবে জননিবন্ধন বিষয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে, এতে জনসাধারনের কিছুটা অসুবিধা তো হচ্ছেই। এমন দাবি অধিকাংশ পরিষদের সচিবদের।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন, পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান রাখতে দুটি পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও দুটি পরিষদ আমি এবং এ্যাসিল্যান্ড দায়িত্ব পালন করছি। সব ইউনিয়নে সেবা নিশ্চিত করা ও যাতে জনসাধারনকে সেবা নিতে এসে ভোগান্তি না হয়।