মোঃ দেলোয়ার হোসেন নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :
সাড়া বাংলাদেশে গত ১৭ টিবছর অত্যাচার,জুলুম,স্ট্রিম রোলার চালিয়েছিল এ আওয়ামীলীগ। আমরা এ প্রত্যেকটিজুলুম ও হত্যারবিচারচাই। আমরা কাউকে ক্ষমা করি নাই। তবে যারা পরিবেশ পরিস্থতির কারণে ব্যক্তিগত সম্পদ রক্ষা,ব্যবসা বাণিজ্য ও চাকরি বাচানোর কারণে আ’লীগের সঙ্গে তালেতাল মিলিয়ে চলেছেন তাদের সাধারণ ক্ষমা। কিন্তু যারা ফাঁসির দড়ি নিয়ে মিছিল করেছেন তাদের ক্ষমা নাই। আ’লীগের জন্ম’ইহয়েছিল হত্যার মধ্যদিয়ে। এ আ’লীগের শেখ মুজিব ১৯৬৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার শাহেদ আলী’কে সংসদে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিল। আ’লীগের ইতিহাস’ই ছিল হত্যার ইতিহাস,২০১০ সালে ক্ষমতায় এসে ২০ থেকে ২৩ এ ফেব্রুয়ারী ঢাকার পিলখানায় বাংলাদেশের গর্ব, অহংকার সেনাবাহীনির ৫৭ জন গর্বিত সন্তানকে তারা হত্যা করেছিল, যা একটিযুদ্ধেও এত সংখ্যক অফিসার শহীদ হয় নাই, যাতারা এ তিনদিনে এ হত্যা করেছে। ২০১৩ সালে তথাকতিত ওই ক্যাঙ্গারু ট্রাইব্যুনাল থেকে আল্লামা সাঈদির ওই মিথ্যা মামলায় মিথ্যা রায় দিয়েছিল, সেই প্রতিবাদে যখন সাড়া বাংলাদেশ ফুসে উঠেছিলতখন ওই কুরআন প্রেমিক জনতার বুকে ওই খুনি হাসিনার নির্দেশে গুলিকরে ৩ শত মানুষকে হত্যা করেছে। ৫ ই মে শাপলা চত্বরে এই দেশের শ্রেষ্ট সন্তান আলেম সমাজ একত্রিত হয়ে ছিল নাস্তিকদের বিচারের দাবীতে তখন ভারতের প্রেসক্রিপশনে খুনি হাসিনা রাতের আঁধারে হাজার হাজার আলেমকে গুলি করে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনার হাত হাজারো,লাখো মানুষের রক্তে রঞ্জিত,হাজারো আলেমের রক্তে রঞ্জিত। আমার বাবার সাথে একটু দেখারজন্য ঘন্টার পর ঘন্টা, দিনের পর দিন বারান্দায় অপেক্ষা করেছি,দরজায়,দরজায় কেঁদে ছিকিন্তু ওই খুনি হাসিনার জন্য একটি বারের জন্য ও আমাকে দেখা করতে দেয়নি। পৃথিবীর কোন আইনে আছে মৃত্যু পথযাত্রী সাথে তার সন্তানকে দেখা করতে দেয় না, তারা পরিকল্পিত ভাবে আমার পিতাকে হত্যা করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ও হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের গুলি করে হত্যা করেছে এই খুনি শেখ হাসিনা আর এই সব কারণেই তার পতন হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার নাজিরপুর উপজেলার শাঁখারীকাঠী ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর কর্মী সমাবেশে ইউনিয়ন সভাপতি মো: আনিসুর রাহমান মল্লিকের সভাপতিত্বে উপজেলা অর্থ সম্পাদক আবু দাউদের সঞ্চবালনায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, এই পিরোজপুরের ১ আসনে আমার পিতা দুইবারের এমপি ছিলেন, তারপরে এ আসনে আরো দুইজন এমপি ছিলে তারা কি করেছে তা আমি বলতে চাইনা, আমি আল্লামা সাঈদির সন্তান, তার পবিত্র রক্ত আমার শরীরে, আমি আজকে আপনাদের কাছে ওয়াদা দিয়ে যাচ্ছি, যদি আল্লাহ্তা’য়ালা আমাকে দিয়ে আপনাদের খেদমত করার সুযোগ দেন,আমাকে আপনাদের খাদেম বানান, তাহলে আমিও য়াদা দিয়ে যচ্ছি আমার পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা নাজিরপুর,পিরোজপুর ও জিয়ানগরকে ঢেলে সাজাব ইনশাআল্লাহ্।
এসময়উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়েত আমীর অধ্যাপক বীরমুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জাল হোসেন ফরিদি,নায়েবে আমীর, আব্দুর রব, সেক্রেটারী অধ্যক্ষ জহিরুল হক, জেলা জামায়াতের সদস্য ড.আব্দুল্লাহীল আল-মাহামুদ, উপজেলা আমীর আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারী,কাজী মো: মোসলেউদ্দীন, বাংলাদেশ ইসলামীকলইয়াস ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এ্যাড. আবু সাঈদ মোল্লা,সাবেক ছাত্র নেতা মো: মোস্তাফিজুর রহমান,ছাত্র শিবির সভাপতি আবু হানিফ শেখ প্রমুখ।