ঝিনাইদহের আড়মুখী জে জে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬০ বছর পূর্তিতে হীরক জয়ন্তী

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

মোঃ মহিউদ্ঝিদীন, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের নলডাঙ্গা ইউনিয়নের আড়মুখী জোয়ার্দ্দার জালাল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হীরক জয়ন্তী পালিত হয়েছে । বিদ্যালয়টির ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) হীরক জয়ন্তীর আয়োজন করে বিদ্যালয়টির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা । সকালে  জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানোর মধ্য দিয়ে হীরক জয়ন্তী পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ।এরপর  হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন সকালের নাস্তা টি-শার্ট এবং ক্যাপ বিতরণ করা হয়। উপস্থিত  প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে বিদ্যালয়টির সামনের সড়কে একটি  বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয় ।

শোভাযাত্রা শেষে কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলোচনা সভা। হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় উপদেষ্টা কমিটির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার তৈহিদুর রহমান বাবলুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ,   অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন  প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান প্রধান শিক্ষক আব্দুল মমিন, খুলনা সরকারি বিএল কলেজের প্রফেসর ড.মো:মুদ্দাসির হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক  প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন, মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক  এ কে এম ফজলুল হক,খুলনার যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মো:মনিরুজ্জাম।এ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন গাজী টিভির জেলা প্রতিনিধি প্রফেসর ওলিয়ার রহমান, রাব্বুল হাসান নিশান, আব্দুল গাফফার, মাহফুজা খাতুন, চৌধুরী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সুজিত কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।

পরবর্তীতে নির্বাচিত ব্যক্তিদের হাতে প্রধান অতিথি সম্মাননা স্মারক ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তুলে দেন।হীরক জয়ন্তীতে আড়মুখী জোয়ার্দ্দার জালাল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে বর্ণিল সাথে সজ্জিত করা হয়।  প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে বিদ্যালয়টিতে আসতে শুরু করেন । অতীতের নানা স্মৃতিচারনের মধ্য দিয়ে সাবেক শিক্ষার্থীদের আড্ডায় মুখর হয়ে উঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গন ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এ প্রতিবেদককে জানান , এমন অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা থাকলে আমরা যারা এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আছি সকলে একসাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ পাবো।আলোচনা সভা শেষে সকলের মাঝে দুপুরের খাবার বিতরণ করা হয়। আর বিকালে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ এক সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *