ঢাবিতে নিহত তোফাজ্জল কাঠালতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি 

মিজানুর রহমান, বরগুনা  :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের শিকার এই যুবক বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন।

জানা যায়, ২০১১ সালে তার বাবা, ২০১৩ সালে মা এবং ২০২৩ সালে একমাত্র বড় ভাইও মারা যান। প্রেমসংক্রান্ত বিষয়ে আরও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তোফাজ্জল। পরিবার ও অভিভাবকহীন হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেন তিনি।মানসিক ভারসাম্য হারানোর আগে তিনি কাঠালতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলের গেস্টরুমে তাকে পেটায় একদল শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করা এক নেতাও ছিলেন বলে খবর ছড়িয়েছে। পিটুনিতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরাই মধ্যরাতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে এসে  মো. বেলাল গাজী নামে এক ব্যক্তি তোফাজ্জলকে নিজের বন্ধু পরিচয় দিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।

তোফাজ্জলের চাচাতো ভাই ফারুক হোসেন বলেন, আমরা আজ সকালে শুনেছি তোফাজ্জলকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এখন ঢাকা মেডিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়েছে। সঙ্গে আছেন চাচাতো ভাই শাহাদাত হোসেন। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হবেন। মরদেহ আনার পর জানাজা শেষে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তার মরদেহ দাফন করা হবে। তিনি আরও বলেন, তোফাজ্জলের বাবা আবদুর রহমান মারা গেছেন ২০১১ সালে, মা বিউটি বেগম মারা যান ২০১৩ সালে এবং ভাই পুলিশের এএসআই নাসির উদ্দিন মারা যান ২০২৩ সালে।

তোফাজ্জলের চাচা ফজলুল হক বলেন, তোফাজ্জলকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *