কক্সবাজার প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের টেকনাফ নাফ নদী থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ৫ জেলেকে ফেরত দিয়েছে আরাকান আর্মি। আজ (০৯ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মি নাফ নদী দিয়ে আটককৃত ৫ বাংলাদেশী জেলেকে বিজিবির নিকট হস্তান্তর করে।
এর আগে, গত ৭ অক্টোবর আনুমানিক বিকেল ৪টায় টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ জালিয়াপাড়া এলাকা হতে ৫ জন বাংলাদেশী জেলে একটি ট্রলারযোগে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে নাফ নদীতে যায়। মাছ ধরতে ধরতে একসময় ভূলবশতঃ তারা বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের শুন্য লাইন অতিক্রম করে মায়ানমারের জলসীমার কাইং চং নামক স্থানে ঢুকে পড়ে। এসময় মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ট্রলারসহ ৫ বাংলাদেশী জেলেকে আটক করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিজিবি’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও আরাকান আর্মির সাথে কার্যকর যোগাযোগের মাধ্যমে আজ ৫ বাংলাদেশী জেলেকে ফেরত আনা হলো।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনার পর থেকে নাফ নদীতে মাছ ধরা নিষেধ করা আছে। তথাপিও বাংলাদেশের জেলেরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রায়শঃ নাফ নদীতে মাছ ধরতে যায়। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য বিজিবি’র পক্ষ সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরাকান আর্মির হাতে আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিকগণ হলেন- টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের আব্দুর রহিমের ছেলে মোঃ আলম (২২), আব্দুল মজিদের ছেলে মোঃ রাসেল মিয়া (২৩) ও মোঃ সাইফুল মিয়া (১৭), রফিকুল ইসলাম এর ছেলে মোঃ বোরহান উদ্দিন (১৯) এবং খোরশেদ আলমের ছেলে মোঃ রাশেদ (২৪)।
পরবর্তীতে বিজিবি কর্তৃক ৫ বাংলাদেশী নাগরিককে নিকটতম আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ সাপেক্ষে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কক্সবাজার রিজিয়নের রামু সেক্টরের অধীনস্থ টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) সদা জাগ্রত অতন্দ্র প্রহরী থেকে সীমান্ত নিরাপত্তায় বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে দায়িত্ব পালন করছে। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সীমান্ত সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান, মাদকদ্রব্য, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় সীমান্ত অপরাধ দমনে যথাযথ ও কার্যকরীভাবে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে বেসামরিক পরিমন্ডলে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে। লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ, বিজিবিএমএস অধিনায়ক টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)।