প্রতিনিধি বরগুনাঃ
বন্যাকবলিত এলাকায় দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্মাণ করা হয় সাইক্লোন শেল্টার। এগুলো তৈরি করা হয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যাতে একই সাথে বিদ্যালয়ের পাঠদান এবং বন্যা বা ঘূর্ণিঝড় হলে স্থানীয় জনসাধারণ আশ্রয় নিতে পারে। সেখানে প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করে। শুনতে অবাক লাগলেও এমন ঘটনা বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা শের ই বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবহৃত সাইক্লোন শেল্টারের তৃতীয় তলায় প্রধান শিক্ষক পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। ২০২০ সনে নিয়োগের পর থেকেই তিনি ওই ভবনেই বসবাস করছেন।
বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষকের তথ্যমতে ম্যানেজিং কমিটি রেজুলেশন করে তাকে থাকতে দিয়েছে। এমনকি তার বসবাসের ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিলও প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে পরিশোধ করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে ম্যানেজিং কমিটি দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্মিত সাইক্লোন শেল্টারে কাউকে বসবাস করার আইনগত অনুমোদন দিতে পারে কিনা?
এদিকে প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বৃষ্টিতে পাঠদান করতে পারে না। টিনের ছাউনি ছিদ্র থাকায় বৃষ্টির পানিতে ভিজতে হয় শিক্ষার্থীদের। গত এক মাস পূর্বে সংস্কার করার দাবী করেছেন প্রধান শিক্ষক। তবুও এখনও বৃষ্টি হলে পানিতে ভিজে যায় শিক্ষার্থীরা। এমনটা দাবী করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থী।
প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে পিবিজিএসআই স্কীম বরাদ্দের অর্থ শুধুমাত্র শিক্ষকদের অংশ বিতরণ করে বাকি অর্থ সামান্য কিছু খরচ করে আত্মসাৎ করেছে প্রধান শিক্ষক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমনটা অভিযোগ করেন ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। শেখ হাসিনার শাসন আমলে কোথাও কোন অভিযোগ দিলেও কোন সুবিচার পায়নি এলাকাবাসী। এমনকি আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে কর্মরত বামনা এলাকার মিজানকে দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে সুপারিশ করিয়ে চুপ করাতে সক্ষম হয়েছে প্রধান শিক্ষক। মিজানের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করত ওই প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিয়া পদে কর্মরত মোঃ আবুল কালাম। এই লাইব্রেরিয়ান পদে কর্মরত আবুল কালামকে নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
এলাকাবাসীর দাবী দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্কার দরকার। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন তারা।
প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন বর্তমানে দাবী করেন তার মেয়ে একজন সমন্বয়ক। এ যেন ঘরে ঘরে সমন্বয়ক। কখন কোথায় তেল দিলে কাজ হবে সেটি তার নগদর্পনে। অভিযোগের বিষয় নিয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
জাকির হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি রেজুলেশনের মাধ্যমে সাইক্লোন শেল্টারের তৃতীয় তলায়, তাকে থাকতে দিয়েছে। বিদ্যুৎ বিল ও বাসাভাড়া প্রতিষ্ঠান বহন করবে তারও রেজুলেশন আছে।
এ বিষয়ে বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওই বিদ্যালয়ের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ আল ইমরান বলেন, আমি এ বিষয় অবগত নই। লিখিত কোন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।