মোর্শেদ মারুফ :
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সাবিনা আলমের বিরুদ্ধে চরম অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে । অনুসন্ধানী টীমের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, সাবিনা আলম সাবেক আওয়ামীলীগ ক্ষমতাসীন সরকারের সুবিধাভোগী আমলা হিসেবে কাজ করে এসেছেন। তার নেতৃত্বে পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্পে আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
রোজ গার্ডেন প্রকল্পে আর্থিক অনিয়ম:
২০২৪ সালে “রোজ গার্ডেন” প্রকল্প ও নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন সাবিনা আলম। এ কাজে তাকে সহায়তা করেছেন অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা। অভিযোগ রয়েছে, তারা আওয়ামীলীগ সিন্ডিকেট তৈরি করে দুর্নীতির একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন।
নিয়োগ বাণিজ্যে দুর্নীতি:
একই বছরে মাস্টার রোলে চাকরি দেওয়ার নামে ৬০ জন শ্রমিকের কাছ থেকে জনপ্রতি ৩ লাখ টাকা করে মোট ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অবৈধ সম্পত্তি:
সাবিনা আলমের নামে ঢাকায় ৪টি এবং আফরোজা খান মিতার নামে ২টি ফ্ল্যাট থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এই সম্পত্তি অর্জনের উৎস জনমনে নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে।
অন্য প্রকল্পে অনিয়ম:
যাদুঘর স্থাপন প্রকল্প এবং সংরক্ষণ জরিপ ও খনন সেমিনার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর তথ্য রয়েছে।
বদলি বাতিলের কৌশল:
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সাবিনা আলমকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে ম্যানেজ করে তিনি বদলি আদেশ বাতিল করে পুনরায় একই দায়িত্বে বহাল থাকেন।
সংবাদ প্রকাশ করার স্বার্থে উক্ত বিষয় জানার জন্য মহাপরিচালক, সাবিনা আলমের সাথে মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অভ্যন্তরে এই নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন বেনামে অনেক ভুক্তভোগী। পর্ব-১