প্রাথমিকে অন্ততপক্ষে মৌলিক সাক্ষরতা অর্জন নিশ্চিত করা জরুরি -প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

স্টাফ রিপোর্টারঃ

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা: বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, যে-কোনো উপায়েই হোক প্রাথমিক পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীর অন্ততপক্ষে মৌলিক সাক্ষরতা অর্জন বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি। আর এ কাজটি আপনারা যারা শিক্ষকমন্ডলী তাদেরই করতে হবে। আমাদের ভর্তির হার বেড়েছে ঠিকই কিন্তু কিছুদিন পর বিদ্যালয় থেকে আবার ছাত্রসংখ্যা কমেও যাচ্ছে, যেটা কোনভাবেই কাম্য নয়।

শনিবার ১১ জানুয়ারি সকালে ময়মনসিংহে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) এ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক কার্যালয়ের আয়োজনে ও ইউনিসেফ, বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় আয়োজিত “কমিউনিকেশন এন্ড সোশ্যাল মবিলাইজেশন এ্যাকশন প্ল্যান তৈরি বিষয়ক” কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর আওতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি বলেন, সমাজের চাহিদা অনুযায়ী আমরা বাচ্চাদের কতটুকু সাক্ষর করে গড়ে তুলতে পারছি, সেটা দেখা উচিত। প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারের পলিসিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। আমরা সে জায়গাটিতে কাজ করছি। আপনাদের সুচারু মতামত সরকারের কাছে অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। অতিকেন্দ্রিকতার কারণে আমরা সামগ্রিকভাবে অনেক কিছু পরিবর্তন করতে পারি না। কিন্তু পরিবর্তন আনার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের শতভাগ চেষ্টা রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে অনেক স্থানীয় সমস্যা রয়েছে, যেটা জেলাভিত্তিক সমাধান করা সম্ভব। এক্ষেত্রে, কেন্দ্র থেকে শুধু একটা সাধারণ নীতিমালা নির্ধারণ করে দিলেই হয়। সর্বোপরি সমস্যাটা আপনার কাছে আসবে, সেটার সমাধান ঊর্ধ্বতনের সাথে পরামর্শ করে করতে হবে, বাস্তবায়নটাও আপনাকেই করতে হবে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, জনমত নিয়েই প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারের পলিসি গঠন হবে। চরাঞ্চলের শিশুদের জন্য স্কুল কীভাবে সুবিধা হয়, দুর্গম অঞ্চলের স্কুলের সুবিধা কী হবে, এটা স্থানীয়দের মতামত অনেকটাই জরুরি। শুধু অর্থনৈতিক কর্মকান্ড করলেই হবে না, শিক্ষাটা সমাজের কতটুকু উপকারে আসছে সেটা ভাবার বিষয়। আমরা প্রাইমারি পর্যায়ে লাইব্রেরির অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর জন্য বাড়তি বই পড়া খুবই প্রয়োজন। প্রয়োজনে বাহির থেকে আমরা মালামাল ও সেবা, ক্রয় বা সরবরাহ করতে পারি। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক মোঃ জালাল উদ্দিন এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমী (নেপ) এর মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ লুৎফুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ ফরহাদ আলম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ময়মনসিংহ বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে উপদেষ্টা জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমী (নেপ) এর কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময় করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *