প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার বৃদ্ধিতে জাতীয় আপলিফটে সাহায্য করবে – প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

স্টাফ রিপোর্টারঃ

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ‘প্রি-প্রাইমারি এন্ড প্রাইমারি এডুকেশন ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট ইন কক্সবাজার এন্ড বান্দরবান ডিস্ট্রিকস এন্ড ভাসানচর অব নোয়াখালী’ প্রজেক্ট যেটি চালু হচ্ছে, সেটিতে  স্কুল ফিডিংসহ অন্যান্য কম্পোনেন্ট রয়ে গেছে। সবকিছু মিলে যদি আমাদের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষাটা বাড়ে, তাহলে সেটি জাতীয় আপলিফটে সাহায্য করবে। কারণ তারা তলার বাসিন্দা। তাদের উন্নত করতে পারলে সকলের উন্নয়ন হবে। প্রাইমারি এডুকেশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। দেশের যে পরিবর্তন হলো-জুলাই গণঅভ্যুত্থান হলো। সেটার মূল কথাটা ছিল বৈষম্য দূরীকরণ। আমরা যদি প্রাথমিক এডুকেশনকে ডেভেলপ করতে পারি তাহলে সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণে এটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। আমরা যারা প্রাথমিক শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট, সকলে যদি দায়িত্ব সুন্দরভাবে গুরুত্ব সহকারে পালন করি তাহলে আমরা এগিয়ে যেতে পারি, দেশকে এগিয়ে নিতে পারি।

উপদেষ্টা আজ কক্সবাজার পিটিআইতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের  ‘প্রি-প্রাইমারি এন্ড প্রাইমারি এডুকেশন ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট ইন কক্সবাজার এন্ড বান্দরবান ডিস্ট্রিকস এন্ড ভাসানচর অব নোয়াখালী’ প্রকল্পের আওতায় “প্রজেক্ট একটিভিটিস এন্ড স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম” সংক্রান্ত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ।

প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার সহধর্মিনী ডাক্তার রমা সাহা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর র মোঃ শামসুজ্জামান, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সিনিয়র ইকোনমিস্ট সৈয়দ রাশেদ আল জায়েদ জোস।

উপদেষ্টা বলেন, এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো-শিশুরা লম্বা সময় স্কুলে থাকবে, তারা দুপুরে কিছু খাবে, তার ক্ষুধা দূর হবে। আমাদের অন্যান্য অনেক মাত্রা রয়ে গেছে। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা হলো আমাদের শিশুরা অপুষ্টিতে ভোগে। এ প্রজেক্টে হেল্থ এর কম্পোনেন্ট রয়ে গেছে। শিশুরা অপুষ্টিতে ভোগে সেটার কিছুটা রেমিডি হলো আমাদের স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম। আমাদের স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে এত ডিম লাগবে, এত বান লাগবে, এত কলা লাগবে এই বিষয়গুলো কিন্তু আমাদের প্রাক্টিক্যালি নীড। আমাদের নীড কিন্তু অনেক বেশি। আর্থিক কারণে অনেকে তার নীড পূরণ করতে পারেনা। কিন্তু নীড যদি অধিক হয় তাহলে এগুলো প্রোডাকশন হবে। ইকোনোমিকে বুস্টআপ করার জন্য কিন্তু প্রজেক্টগুলি কাজে লাগবে। আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে এ ধরনের স্কুল ফিডিং, সেটা উন্নত দেশে যেমন ডাইমেনশন, আমাদের দেশের ডাইমেনশন বহুমাত্রিক । আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা  এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। উনাদের মধ্যে এটাকে শুধু স্কুল ফিডিং হিসেবে প্রতিপাদ্য হচ্ছেনা। উনাদের চোখে অর্থনীতির একটি বিশাল ডাইমেনশন হিসেবে ধরা পড়ছে। আশা করি আমরা সেটা করব। ১৫০ উপজেলায় স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম চালু হবে।

 

উল্লেখ্য, প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারের ৫৬৯ এবং বান্দরবানের ৪৩৬টি মোট ১,০৯৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ লাখ ১১ হাজার শিক্ষার্থী  সপ্তাহে পাঁচদিন পুষ্টিকর বিস্কুট, কলা, বান, ডিম, দুধ পাবে। কক্সবাজার এবং ভাষানচরে অবস্থানরত মায়ানমারের শিশুরাও সুবিধা পাবে। ১,০৯৫ টি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ৬,০৯৯ জন শিক্ষক দক্ষতা বৃদ্ধির ট্রেনিং পাবে। প্রকল্পের  মেয়াদ জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৭ পর্যন্ত। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের টাকা ২৮৭ কোটি এবং প্রকল্প সাহায্য ৬৬৩ কোটি টাকা।

 

উপদেষ্টা এর আগে কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মাণাধীন ‘লিডারশীপ ট্রেনিং সেন্টার’ পরিদর্শন করেন  এবং কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত বিদ্যালয় বহির্ভূত কিশোর-কিশোরীদের জন্য দক্ষতা কেন্দ্রিক সাক্ষরতা ‘স্কিলফো’ প্রকল্পের (পাইলট) ব্যবহারিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement
Advertisement