বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:
বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতি রোববার সকালে বরগুনার নবাগত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো: সাইফুর রহমানকে সংবর্ধনা দিয়েছে।বরগুনা আইনজীবী সমিতির হল রুমে বারের সভাপতি মাহবুবুল বারি আসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, নারী ও শিশু নির্বাচন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: সাইফুল আলম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এ এফ এম মেজবাউল হক, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সাইদ আহমেদ, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ, মো: আনিসুর রহমানসহ বিচারকবৃন্দ এবং শতাধিক আইনজীবীগণ।
প্রধান অতিথি সিনিয়র জেলা ও দায়রা বরগুনা বারে পৌছলে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন বারের সভাপতি মাহবুবুল বারি আসলাম। সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন আইনজীবী মারুফ বিল্লাহ। গীতা পাঠ করেন, সাবেক পিপি ভুবন চন্দ্র হাওলাদার। পরে আইনজীবীরা তাদের পরিচয় দিয়েছেন।
বিচারকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো: সাইফুর রহমান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এ এফ এম মেজবাউল হক ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: সাইফুল আলম।
আইনজীবীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জিপি আবদুল মজিদ তালুকদার, পাবলিক প্রসিকিউটর মো: নুরুল আমীন, বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু, সাবেক সভাপতি আবদুর রহমান নান্টু, সাবেক সভাপতি মো: আবদুল মোতালেব মিয়া, সাবেক বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সভাপতি এমডি আনিনুর রহমান, সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাহাদুর, মো: সোহরাব হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: সিদ্দিকুর রহমান, মো: জিয়াউদ্দিন প্রমূখ।
প্রধান অতিথি বলেন, জাজ প্রডাক্ট অব দ্য বার। বার হচ্ছে বিচারকদের সূতিকাগার। বার যত সমৃদ্ধি হবে বিচারক ততো সমৃদ্ধি হবে। তিনি বলেন, একটি পাখির যেমন দুটি ডানা থাকে তেমনি বার ও বেঞ্চ ঠিক তেমনি। শুধু বিচারক দিয়ে ন্যায় বিচার দেওয়া সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে বারের সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, কোর্টের বারান্দায় যখন একজন বিচার প্রার্থী ঘুরে বেড়ায়, তখন একজন আইনজীবী পেয়ে তার উপর দায়িত্ব দেয়। আইনজীবীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আইনজীবী মানেই সমাজের দর্পণ। আপনাদের এটি পেশা, ব্যবসা নয়। তিনি বলেন, পৃথিবীতে কোটি কোটি ব্যবসায়ী আছেন। আমরা কার কথা মনে রাখি। হাজি মোহাম্মদ মোহসিনের কথা আমরা মনে রাখি। তার মাত্র দেড় রাখ টাকা পূঁজি ছিল। সেই টাকা দিয়ে তিনি সমাজের কল্যান করেছেন। তিনি বলেন, তরুণ আইনজীবীদের বিকশিত করার জন্য যা যা করার তা আমি করব। তিনি বরগুনা বার আমাকে সম্মানিত করার জন্য বিচারকের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস বলেন, আমি বরগুনায় যোগদান করেছি ২৬ দিন। এর মধ্যে তিনবার বরগুনা বারে আসার সৌভাগ্য হয়েছে। আপনাদের কাস্টম আমার ভালো লেগেছে।
তিনি বলেন, আমি বরগুনা শহর ঘুরে ঘুরে দেখেছি। মার্কেটগুলো গুছানো ও পরিকল্পিত। বরগুনা আমাকে মুগ্ধ করেছে। বরগুনা জেলা খুই সুন্দর। বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আমাদের টিম লিডার। আইনজীবীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে বিচার প্রার্থীরা আমাদের কাছে আসেন। আমরা তাদের কাগজগুলো দেখি সাক্ষ্য নেই তারপর বিচার করি। কাগজগুলো সঠিক থাকলে আমরা ন্যায় বিচার দিতে পারব। কাগজ ও সাক্ষ্য সঠিক না থাকলে ন্যায় বিচার বিঘ্নিত হলে হৃদয় কাঁদে। কিন্তু কলম কাঁদে না।
উল্লেখ্য, ২৩ তম সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসাবে ২১ জানুয়ারি মো: সাইফুর রহমান বরগুনায় যোগদান করেন। আইন মন্ত্রনালয় তাকে ৭ জানুয়ারি বদলি করেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম মানবপাচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিলেন। তিনি মো: রফিকুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হলেন।