বরিশাল জেলা প্রতিনিধি:
বরিশালের বাবুগঞ্জে আপন চাচা খেয়া পারাপারের ট্রলারের মাঝিকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ভাতিজাসহ চারজন।গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বরিশালের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোখলেচুর রহমানের কাছে জবানবন্দি দেন তারা।
জবানবন্দি দেওয়া চারজন হলো, হত্যার শিকার ট্রলার মাঝি মাহবুব হাওলাদারের ভাই শহীদ হাওলাদারের ছেলে সুজন হাওলাদার (২৫), মো. শাসুল হাওলাদারের ছেলে নাইম হাওলাদার (২৩), নিজারুল হাওলাদারের ছেলে রিয়াদ হাওলাদার (২৩) ও আবুল খানের ছেলে সাব্বির খান (১৯)।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মোল্লার হাট এলাকা থেকে চাচা মাহবুব হাওলাদারের (৫২) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।মাহবুব বাবুগঞ্জ উপজেলার রাহুতকাঠি ও উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর বন্দরের খেয়াঘাটে ট্রলার দিয়ে যাত্রী পারাপার করতেন।
৩১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় অজ্ঞাতপরিচয় ৭/৮ জন তরুণ রাহুতকাঠি ঘাট থেকে শিকারপুর বন্দরে যাওয়ার কথা বলে ট্রলারে উঠে। মাঝ নদীতে যাওয়ার পর নদীতে থাকা জেলে ও তীরের বাসিন্দারা চিৎকার শুনতে পায়। এ ঘটনার পর নিখোঁজ ট্রলারসহ ছিল মাহবুব।
এ ঘটনায় বুধবার বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দীন তার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বলেন, যাত্রীবেশে ট্রলারে উঠে মাঝ নদীতে নিয়ে মাহবুবকে হত্যা করে ভাতিজাসহ ছয়জন। পরে মুক্তিপণ চেয়ে মাহবুবের ছেলের কাছে কল করা হয়। ওই মোবাইল ফোনের ওই কলের সূত্র ধরে প্রথমে দুইজন ও পরে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে তাজিম হাওলাদার (১৭) ও তাসিন হাওলাদার (১৬) নামে দুই শিশু রয়েছে। তারা হত্যার ঘটনার স্বীকার করেছেন। তাদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো স্থান তিন নদীর মোহনা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পূর্ব শত্রুতা ও ট্রলার ছিনতাইয়ের জন্য হত্যাকাণ্ড হয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, চারজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের জবানবন্দি যাচাই-বাছাই করে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
আদালতে বাবুগঞ্জ থানার জিআরও খাদিজা বেগম বলেন, চারজন জবানবন্দি দেওয়ার পর তাদের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুই শিশুকে শিশু আদালতে পাঠানো হয়।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আমিনুল ইসলাম বলেন, ট্রলারটি তিন লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। ট্রলারটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।