রফিকুল ইসলাম:
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে আমাদের শিশুদেরকে মাতৃভাষায় সাক্ষর করে তোলা। এর মাধ্যমে তাদেরকে ক্ষমতাবান করে তুলি। আমাদের শিশুরা বেশির ভাগই মধ্যবিত্ত নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসে । ফলে সামাজিক বৈষম্য নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারি যদি শিশুদেরকে প্রকৃতপক্ষে মাতৃভাষায় সাক্ষর করে তুলতে পারি। শিশুদেরকে প্রকৃতপক্ষে মাতৃভাষায় সাক্ষর করে তুলতে পারি তাহলে বাংলাদেশেকে বৈষম্যহীন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
উপদেষ্টা শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) ঢাকায় মিরপুরস্থ প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (পিটিআই)তে “শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫’’ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট ও অডিট) মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) নুরজাহান খাতুন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) আবু শাহীন মোঃ আসাদুজ্জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) দেবব্রত চক্রবর্তী, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালক সুরাইয়া খান।
উপদেষ্টা বলেন, সর্বক্ষেত্রে বাংলা ব্যবহারের অন্তরায় জাতীয় সংকল্পের অভাব। দেশ স্বাধীন হবার পর আমরা ৫২র ভাষা আন্দোলনের মূল চেতনা থেকে দূরে সরে গেছি। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাষাভাষী হিসেবে বাংলা বাদে বাকি ৪০ টির ভাষাভাষীর ব্যাপারে আমাদের খোঁজ নিতে হবে এইটাই ৫২র ভাষা আন্দোলন ও ২৪র আন্দোলনের মূল স্পিরিট। প্রাথমিকে ৫ ভাষায় বই আছে, কিন্তু শিক্ষকের অভাবে আমরা এই বই কাজে লাগাতে পারছিনা। আমরা এই ভাষার বইয়ের উপর অনলাইন কন্টেন্ট ও লেকচার তৈরি করবো। যাতে করে শিশুরা দেখে দেখে শিখতে পারে।