খেলাফত হোসেন খসরু,পিরোজপুরঃ
বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে গ্রামে মেলাসহ নানান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আর এসব অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে চাহিদা বাড়ে মাটির তৈরি বিভিন্ন তৈজসপত্রের। ফাল্গুন মাস থেকেই এ সকল তৈজসপত্র তৈরিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন পিরোজপুরের কাউখালীর মৃৎশিল্পীরা।
উপজেলার সোনাকুর গ্রামের মৃৎশিল্প কারিগর নিমাই পাল (৬৭) বলেন, এসকল মালামাল বেশিরভাগ আগেই তৈরি করা থাকে। সিজনে রঙ দিয়ে এবং বিভিন্ন কারুকাজ করে আমরা এ মাটির তৈরি তৈজসপত্র ও খেলনা তৈরি করি। সারা বছরই এ কাজ করি তবে এই সময়ে আমাদের ব্যাস্ততা একটু বাড়ে। তারা মনে করেন,বাংলা নববর্ষের উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী এসব পণ্যের বেচাকেনা বাড়লে সারা বছরের লোকসান কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
সরেজমিনে উপজেলার আমরাজুরী ইউনিয়নের সোনাকুর এলাকায় ও কাউখালী সদরের পালবাড়ী এলাকায় দেখা যায়,বৈশাখী মেলায় ব্যাবসা করতে পণ্য তৈরিতে রাত-দিন কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত বাড়ির আঙিনায় বসে মাটি দিয়ে পুতুল, হাতি, ঘোড়া,ময়ূর হাঁড়ি পাতিল সহ বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী তৈরি করে । মাটির তৈরি তৈজসপত্র ও খেলনা গুলো রোদে শুকানোর পরে বিশেষ পদ্ধতিতে আগুনে পুড়িয়ে নিপুণ তুলির আঁচড়ে বাহারি রঙে রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে।
এইচএম দ্বীন মোহাম্মদ জানান,তাদের তৈরি জিনিস পত্রগুলো পহেলা বৈশাখের মেলা সহ এলাকার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হবে। যদিও প্লাস্টিকের পণ্য বাজার দখল করে নেওয়ায় মাটির তৈরি তৈজসপত্রের চাহিদা কমে গেছে। তারপরও বাপ-দাদার এ পেশাকে এখনো ধরে রেখেছেন তারা। পৃষ্ঠা পোষকতা ও প্রশিক্ষণ পেলে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।