আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশ দুটিতে ভবন ধসের পাশাপাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক সরকারি অবকাঠামো। ফাটল ধরেছে সড়কে। অন্তত ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মিয়ানমারের ছয়টি অঞ্চল এবং রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সাহায্যেরও আবেদন জানিয়েছে দেশটি। ব্যাংকক শহরকে ঘোষণা করা হয়েছে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিয়ানমারের মান্দালয়ে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। মিয়ানমারের সাগাইং থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে ছিল এর উৎপত্তিস্থল। গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোর বিভিন্ন সড়কে ফাটল দেখা দেয়। শহরে ২০ লেন পর্যন্ত প্রশস্ত রাস্তা রয়েছে যা ভূমিকম্পের কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এমনকি এর প্রভাবে দেশটিতে ভেঙে পড়েছে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত আভা ব্রিজ। এটি পুরোনো সাংগাই সেতু নামেও পরিচিত। ৯১ বছর আগে নির্মিত সেতুটি আভা এবং সাংগাই অঞ্চলকে যুক্ত করেছে।
পাশাপাশি ধর্মীয় উপাসনালয় ও আবাসিক ভবনও বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তবে, দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে আরও বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্পের প্রভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকক। শহরটিতে একটি বহুতল ভবন ধসে অন্তত ৪৩ শ্রমিকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। সর্বশেষ খবর পর্যন্ত এখান থেকে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।