খেলাফত হোসেন খসরু, পিরোজপুরঃ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উপজেলার ৬ নং টিকিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আ.লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রিপন (রাঙ্গা রিপন) এর বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশণার, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও দুদকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই পরিষদের সাবেক ১১ জন ইউপি সদস্য। এছাড়াও বর্তমান ৬ জন ইউপি সদস্য বিভিন্ন অনিয়মের বিচার চেয়ে ১১টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সাল থেকে ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার ক্ষমতার প্রভাবে সরকারি ২২ টি আয়রণ ব্রিজের লোহা-লক্কর নামমাত্র জমা রেখে অধিকাংশ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন। যেখানে নিয়ম রয়েছে ওই লোহা-লক্কর প্রকাশ্যে টেন্ডার দিবেন। এছাড়া ওই ১১ জন ইউপি সদস্যের ২০১৬ সাল থেকে ২১ সাল পর্যন্ত সম্মানী ভাতা, ১%, এলজিএসপি ও বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেন। অপরদিকে ভিজিডি, ভিজিএফ, কৃষি অধিদপ্তরের অনুদান ও বিভিন্ন সরকারি সহায়তা নিজস্ব লোকের মাঝে বন্টন করেন। ব্যাক্তিগত লাভের জন্য বিভিন্ন মনগড়া প্রকল্প বানিয়ে জোর করে রেজুলেশন খাতায় স্বাক্ষর নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে টিকিকাটা ইউনিয়ন পষিদ চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে আয়রণ ব্রিজের কিছু লোহা-লক্কর পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি সচিব আশুতোষ হালদার বলেন, লোহা-লক্কর দেখভালোর দায়িত্ব উপজেলা প্রকৌশলীর। প্রকৌশলী পরিষদকে অবহিত করেনি। কি মালামাল আছে, তা আমার জানা নাই।
ইউপি সদস্যদেও জোর পূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান সাহেবতো অস্ত্রধরে কারো স্বাক্ষর নেয়নি! অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী আমাকে মাত্র ৩-৪ টি আয়রণ ব্রিজের পুরাতণ মালামাল বুঝিয়ে দিয়েছেন। সেগুলো পরিষদ চত্বরে জমা আছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপতে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোঃ জিয়ারুল ইসলাম বলেন, মাসিক মিটিংয়ে রেজুরেশন করে চেয়ারম্যান পুরাতণ ব্রিজগুলোর লোহা-লক্কর বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ইউপি সচিব যে বক্তব্য দিয়েছে সেটা আজগুবি কথা। এটা দায়িত্বহীনতার সামিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম বলেন, তদন্তপূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।