খেলাফত হোসেন খসরু, পিরোজপুর:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জেলে জয়নাল মৃধা হত্যাকান্ডে নির্দোষ লোকদের আসামী করার প্রতিবাদে ও তদন্তপূর্বক প্রকৃত আসামীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা। বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রেসক্লাবে মামলার ২ নং আসামীর মেয়ে এবং ৫ ও ৯নং আসামীর বোন সুখী আক্তার এ দাবি জনান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার তাফালবাড়িয়া গ্রামের সোহরাব মৃধার ছেলে জয়নাল (২৩) সুন্দর বনের শরণখোলা উপজেলাধীন কস্তুরা খালে মৎস্য মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন। ৬ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে নিহত জয়নালের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। ৯ অক্টোবর নিহতের বাবা সোহরাব মৃধা ১১ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৯ জনের বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সুখী আক্তার আরও বলেন, এই বাদী সোহরাব মৃধার সাথে ১নং আসামী আল-আমীন মাতুব্বরের পূর্বে বিরোধ ও মামলা ছিলো। আল-আমীন মাতুব্বরকে ঘায়ের করতে তাকে সহ তার ভাই জাহাঙ্গীর মাতুব্বর, আলম মাতুব্বর, সোবহান মাতুব্বর সহ তার কলেজ পড়ুয়া ভাইয়ের ছেলেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়েছেন। আল আমীন ওই তাফালবাড়িয়া গ্রামের সোহরাফ মাতুব্বরের ছেলে। বিশেষ স্বার্থের জন্য এ মামলায় ইন্দুরকানি ও পাথারঘাটা উপজেলার নির্দোষ লোকদের আসামী করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আসামী আল-আমীনের স্ত্রী ময়না বেগম, জাহাঙ্গীরের স্ত্রী মিনারা বেগম, আলমের স্ত্রী নাসিমা বেগমসহ আসামীদের বিভিন্ন স্বজনরা। এ ব্যাপারে মামলার বাদি সোহরাব মৃধা বলেন, ১ নং আসামী আল-আমীনের আদি বাড়ি ইন্দুরকানি উপজেলায়। আমার ছেলে হত্যার সাথে যারা জড়িত, তাদেরকেই আসামী করা হয়েছে। তিনি আসামী গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শরণখোলা থানার ধানসাগর নৌ-পুলিশ ফাড়ির সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ আব্দুল আলম বলেন, মামলাটি গুরুপ্ত সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আসামী গ্রেপ্তারের জন্য ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন থানায় বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।