রাজশাহী ব্যুরো:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগ ও মার্কেটিং বিভাগের মধ্যকার আন্তঃবিভাগ ফুটবল খেলায় স্লেজিংকে (কটুকথা) কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক বণিকবার্তা পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি আবু সালেহ শোয়েবকে মারধর করা হয়েছে। তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করতে বাধ্য করেন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাবি প্রেসক্লাব কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আবু সালেহ শোয়েব রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ও রাবি প্রেসক্লাবের সদস্য।
আবু সালেহ শোয়েব বলেন, আমিসহ কয়েকজন সাংবাদিক প্রেসক্লাবের কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ফার্স্ট সায়েন্স বিল্ডিং পার হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। হাতে লাঠিসোঁটা দেখে সাংবাদিক হিসেবে ভিডিও করার জন্য ফোন বের করতেই ওই বিভাগের আনুমানিক ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী আমার দিকে ধেয়ে এসে মারধর শুরু করে। আমি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আইডি কার্ড দেখানোর পর সেটি ছুড়ে ফেলা হয়েছে। আমার কলার চেপে ধরে ফোন থেকে জোর করে ভিডিও ডিলিট করানো হয়। আমার সাথে প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে রাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি জুবায়ের জামিল বলেন, যে কোনো ঘটনায় আমরা সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বার বার মারধরের শিকার হই। এভাবে আর চলতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যদি এ বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ না নেন তাহলে আমরা এবার আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে বাধ্য হব।
এ বিষয়ে জানতে মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নুরুজ্জামানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই রাখো তো। তোমরা সাংবাদিক রাখো তো এইগুলা। আমি মরে যাচ্ছি আর তোমরা সাংবাদিকরা খালি ফোন দিচ্ছো। এটা বলেই তিনি কল কেটে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে বসবেন তিনি।