শহিদুল ইসলাম খোকন:
গাইবান্ধা ব্রহ্মপুত্র নদের বুক জুড়ে ছোট বড় প্রায় শতাধিক চরাঞ্চলে মরিচ,ভুট্টা ,বাদামসহ নানা ফসল। চাষ হয়। গাইবান্ধার সাত উপজেলা গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা,গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর ও সুন্দরগঞ্জসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলের মাইলের পর মাইল চাষ হয় এ মরিচ।এ অঞ্চলে পলি ও বেলে-দোআঁশ মাটি মরিচ চাষের জন্য উপযোগী।
চরাঞ্চলের বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে মরিচের সবুজের সমারোহের এ দৃশ্য বিমোহিত করছে সকলকেই। এবছর ফলন ভালো হওয়া ও বেশ দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা। গত বছর বন্যা হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়লেও এ ক্ষতি থেকে ঘুড়ে দাঁড়াতে নব উদ্যমে এগিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মরিচ চাষিরা।
সরেজমিনে বিভিন্ন মাঠগুলোতে দেখা গেছে মরিচের দৃষ্ঠিনন্দন এ দৃশ্য। মরিচ ক্ষেতে কৃষকের পরিশ্রম আর সঠিক পরিচর্যায় গাছও হয়ে উঠেছে সুস্থ সবল। এখন গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে টকটকে লাল মরিচের বাহার। অনেক গাছ মরিচের ভাড়ে নুয়ে পরছে।। এমন দৃশ্য দেখা মরিচ চাষিদের মন ভরে উঠেছে। অল্প খরচে বেশি লাভের আশায় মরিচ ক্ষেতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। দিনের অর্ধেক সময়ে মরিচ তুলে বিকালে বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নেয় কৃষকরা। সপ্তাহে প্রায় দুদিন বসে মরিচের হাট। অনেকেই আবার মরিচ তুলে নিয়ে বাড়িতে অথবা জমির আইলেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করে থাকেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লার চর ইউনিয়নের মরিচ চাষি আব্দুল খালেক বলেন, ১০ কাঠা জমিতে দেশি মরিচের চাষ করেছি। এতে আমার ব্যায় হয়েছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। তবে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছি।অনেকে পাকা মরিচ শুকানোর কাজে ব্যস্ত।পাকা মরিচ শুকিয়ে বস্তায় ভরে দীর্ঘদিন রাখা যায়। সার,পানি কম লাগায় মরিচের চাষের দিকে হেলা পরছে কৃষকরাইঝ
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে ‘চলতি মৌসুমে জেলায় ২ হাজার ৯৬৭ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। যার লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮১৩ মেট্রিকটন।
কৃষকরা জানান, মরিচ গাচের পরিচর্যা তুলনামূলক কম নিতে হয়,সার- ঔষধ কম লাগায় দিন দিন বাড়ছে মরিচ চাষ।
গাইবান্ধা কৃষি অধিদপ্তরের উপ পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, মরিচ চাষে কিভাবে ফলন বৃদ্ধি করা যায় এবং চাষিরা বেশি লাভবান হবে,মরিচ গাছের রোগবালাই দমনে আমাদের মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ব্লকে কৃষি কর্মকর্তারা আছেন, তারা সার্বক্ষনিক কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়েই যাচ্ছেন।বিভিন্ন সেটে মরিচ কি ভাবে সংরক্ষণ করা যায় আমরা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। কৃষকরা প্রকৃত পরামর্শানুযায়ী জমিতে ভাল ফলন পেতে শুরু করছি।