নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :
মাসুদ সাঈদী বলেন, শেখ হাসিনা বিদায়ের পড়েও ষড়যন্ত্র থেমে নেই,আর থামাবেও না বরং আমাদেরই ভুল ছিল ৫ ই আগষ্টের পর শেখ হাসিনাকে গণভবনে গাছের সাথে বেঁধে রাখা উচিৎ ছিল, এবং ওখান থেকেই তাদের বানান শেখ ট্রাইব্যুনালে আল্লামা সাঈদী সহ বাংলাদেশের নিরীহ নিরপরাধ আলেমদেরকে হত্যার হুমুক দিয়েছিল, ওই ট্রাইব্যুনালে গাছের সাথে ঝুলিয়ে ফাঁসি দেওয়া উচিৎ ছিল। তাকে পালাতে দেওয়াই ছিল সব থেকে বড় ভুল। যড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং করতেই থাকবে। তাদের সব থেকে বড় টার্গেট ইসলাম প্রতিষ্ঠায় যে সব দল বাংলাদেশে কাজ করছে আলেম,ওলামা,ঈমাদের দিকেই তাদের প্রধান টার্গেট।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় ইমাম সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন, উক্ত অনুষ্ঠানের উলামা বিভাগ নাজিরপুরের আহবায়ক হায়েজ হাবিবুল্লাহ্ বেলালীর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা জামায়াতের বাইতুমাল সম্পাদক মো: আবু দাউদের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন,জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ও জাতীয় ইমাম সমিতির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মো: জহিরুল হক,ইমাম শাখার পিরোজপুর জেলা সাভাপতি,মুফতি আব্দুল হালিম,উপজেলা জামায়াতের আমির ও উপজেলা ইমাম সমিতি’রপ্রধান উপদেষ্টা আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী কাজী মো: মোসলে উদ্দীন, শিবিরের সাবেক সভাপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমান,সাবেক জামায়াত নেতা হায়েজ হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
এ সময় মাসুদ সাঈদী আরো বলেন, ইমামদের একটি বক্তেব্যে একটি সমাজ পরিবর্তন হতে পারে, আপনাদের একটি কথায় মানুষের চরিত্র বদলাতে পারে। আল্লামা সাঈদীর কন্ঠে কুরআন শুনে ১ হাজারের ও বেশি অমুসলিম ইসলাম গ্রহন করছে। দূর্নীতিবাজ অর্থপাচারকারী তারা বসে রাষ্ট্রের চেয়ারে আর জাতীয় শ্রেষ্ট সন্তান ইমামরা বসে ছোট্ট একটি ঘরে। বাংলাদেশের এই ক্রান্তিকালে ইমাম সম্মেলন অত্যন্ত অর্থবহ এবং গরুত্বপূর্ণ কারন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিন আমাদের ৩০ লক্ষ শহীদ’দের রক্তের বিনিময়ে। ১৯৭১ থেকে ২০২৪ এ আমরা কী পেয়েছি ? বাংলাদেশের জনগণ কী পেয়েছে, আমারা দেখেছি মুষ্টিমে কিছু নেতার পকেট ভারি হয়েছে। দেশের অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে।
একই দিনে দুপুরে নাজিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে অংশগ্রহন করেন।