শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ভাংগাটি (মোল্লাপাড়া) এলাকায় মেঘনা গ্রুপের এম অ্যান্ড ইউ ট্রিমস (বোতাম) কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ওই কারখানায় অগ্নিকান্ডর ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট সাড়ে ৩ ঘন্টা চেষ্টা করে বিকেল ৪ টায় আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে। গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) মো: মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলো ভাংনাহাটি এলাকার জাকির হোসেন, খোকন মিয়া, রনি, ফরিদপুর জেলার মকদুল শেখের ছেলে লুৎফর রহমান, বারেক মোল্লার ছেলে আরিফুল ইসলাম। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত জাকির হোসেন, খোকন মিয়া, এবং রনিকে ঢাকা মেডকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুস্মিতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে কারখানার শ্রমিকেরা মধ্যাহ্ন বিরতিতে চলেযায়। দেড়টার দিকে হঠাৎ কারখানার দক্ষি পাশে ক্যামিকেল রাখার গুদাম থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। পরে কারখানার কর্তৃপক্ষ স্থানীয় মাওনা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয় এবং কারখানার নিজস্ব অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থায় আগুণ নিয়ন্ত্রনে আনতে কাজ করে। দুপুর মোয়া ২টার দিকে মাওনা ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ শুরু করে। ততক্ষনে আগুণ গুদামসহ পশ্চিম পাশের ডাস্ট রুমে ছাড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় বাসিন্দা ও কারখানা কর্মচারীরা পাশের গুডাউনে রাখা ক্যামিকেলের ড্রাম কারখানার বাহিরে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চার ঘন্টা চেষ্টা করে বিকেল ৪ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাৎক্ষনিক কারখানা কর্মকর্তারা বিষয়টি জানাতে পারেনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারখানার সিট কাটিং সেকশনের শ্রমিক বলেন, দুপুরের দিকে হঠাৎ কা২রকা২রখানার দক্ষিন পাশের কেমিক্যাল গুদামে বিকট শব্দ হয়। বিকট শব্দ শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখেন কয়েকজন শ্রমিক আতঙ্কে দৌড় দিচ্ছে। এ সময় কয়েকজন আহত হয়।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) মো: মামুন জানান, আমরা দুপুর পৌণে দুই টার দিকে আগুন লাগার খবর পাই। আমাদের প্রথম ইউনিট দ্রæতই ঘটনাস্থলে আসে। এম অ্যান্ড ইউ ট্রিমস (বোতাম) কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। এখনো নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। খবর পেয়ে মাওনা ফায়ার সার্ভিসের ২টি, রাজেন্দ্রপুরের মডার্ণ ফায়ার সার্ভিসের ২টি এবং গাজীপুরের ভোগড়া ফায়ার সার্ভিসের ৩টিসহ মোট ৭টি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে একযোগে কাজ করে বিকেল ৪ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে আমি আসার পরও দুইটি ড্রাম বিষ্ফোরনের শব্দ পেয়েছি। ক্যামিকেলের ড্রাম বিষ্ফোরণ হওয়ায় আমপাশের পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। পাশেই উৎপাদন শেডে ১২০টির মতো ক্যামিকেলের ড্রাম ছিল। আমাদের ফায়ার ফাইটার এবং স্থানীয়দের সহায়তায় ওই ড্রামগুলো বাহিরে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিতে পেরেছি। তা না হলে আগুণ আরো ভায়াবহ রূপ ধারণ করতো। । প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হতে পেরেছি ওয়েস্ট ক্যামিকেলের গুদাম থেকে আগুন লাগতে পারে।
এদিকে, বিকেল ৪টার দিকে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজিব আহমেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং বিএনপির নেতাকর্মরা অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ কারখানা পরিদর্শন করেন।