শ্রীপুরে শিশু সন্তানসহ চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মায়ের আত্মহত্যা

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:

গাজীপুরের শ্রীপুরে শিশু সন্তান রওজাতুল জান্নাত রাফসাকে (১) কোলে নিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মা নাসরিন আক্তার (৩০)। সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর রেল ষ্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের স্বামী রাসেল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত নাসরিন আক্তার ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার টাঙ্গাবো গ্রামের রাসেল মিয়ার স্ত্রী। তাদের এক বছর শিশু সন্তান রাফসা। রাসেল স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী গ্রামের আমতলী এলাকার আহম্মেদ ফকিরের বাড়ীতে ভাড়া থেকে স্থানীয় কালার এন্ড ক্রো কারখানায় চাকরি করতো।

নিহতের স্বামী রাসেল মিয়া জানান, আমি গত তিনদিন যাবত কারখানায় যায়নি। এ নিয়ে সকাল থেকে তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার পরে তার স্ত্রী মেয়ে রাফসাকে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। সাতখামাইর রেল ষ্টেশনে আতœহত্যা করলে আমি খবর পেয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী রাজু মিয়া জানান, সকাল থেকেই নাসরিন আক্তার তার শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে সাতখামাইর ষ্টেশন এলাকায় বসেছিলেন। ট্রেন আসার আগে সে মুঠোফোনে কার সাথে যেন কথা বলতেছিল। ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জগামী মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেন সাতখামাইর ষ্টেশন অতিক্রম করার সময় নাসরিন আক্তার শিশু সন্তানসহ চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়। এসময় শিশু সন্তান একটু আঘাত পেলেও শিশুর মা নাসরিন আক্তারের একটি পা ভেঙ্গে যায় এবং নাক ও কান দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। স্থানীয়রা নাসরিনকে ষ্টেশন থেকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।

শ্রীপুর রেল স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জগামী মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেন সাতখামাইর ষ্টেশন অতিক্রম করার এক নারী তার শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়। দুর্ঘটনায় মহিলার একটি পা ভেঙ্গে যায় এবং নাক ও কান দিয়ে রক্ত বের হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত শিশু রাফসাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুনেছি ওই হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশুটি মারা গেছে।

জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনের ইনচার্জ সেতাবুর রহমান জানান, ট্রেনের ধাক্কায় এক নারী ও তার শিশু সন্তান আহত হয়। মা ও মেয়েকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *