মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার:
শ্রীমঙ্গলে ইসলামপুর (সিন্দুরখান) গ্রামে পূর্ব শক্রতার জের ধরে সৎ ভাই, বোন ও ভ্রাতুসপুত্রদের পৃথক পৃথক হামলায় নিহত মোঃ হাসান মিয়া (২০) ও তার মা মায়া বেগম (৬০) হত্যা ঘটনায় পৃথক পৃথক মামলার আসামীরা মামলা (নং- দায়রা-১১৭/২০২৪ইং) তুলে নিতে হুমকি দেয়ার ঘটনায় তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলে অবহেলা করায় শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ-কে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেছেন মৌলভীবাজার অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। বিজ্ঞ আদালতের গত ২৯/১০/২০২৪ইং তারিখে স্বারক নং- ৫১২ মূলে প্রেরিত আদেশের প্রেক্ষিতে বর্নিত ঘঠনার বিষয়ে তদন্ত প্রেতিবেদন প্রেরণ না করার কারণে গত ২০ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ বিচারক এ আদেশ প্রদান করেন।
জানা গেছে- গত ২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী উপজেলার রাজঘাট চা বাগানের লাল টিলা বস্তির চৈতন মুন্ডার বাড়িতে প্রকাশ্যে হাসান মিয়া (২০) এর উপরে আক্রমণ করে রক্তাক্ত জখম করা হয়। ঘটনার ১৫ দিন পর অর্থাৎ ২৫ ফেব্রুয়ারী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মৃত্যু বরণ করেন। একই ভাবে গত ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর আকবর আলীর প্রথম স্ত্রী খোদেজা বেগম এর সন্তান প্রভাবশালী সৎ ভাই স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আছিদ আলী, পারভীন বেগম, উমর আলীসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন মিলে জাফর আলী ও তার মা মায়া বেগমের উপর দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর আহত মায়া বেগমকে প্রথমে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য হাসপাতালে ও পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে এবং সর্বশেষ ২৬ ডিসেম্বর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিগত ১১ জানুয়ারি তিনিও মৃত্যুবরণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী সিএনজি চালক মোঃ জাফর আলী জানান- মামলা দায়েরের পর থেকেই মামলার আসামী ও তাদের লোকজন মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য চড়াও হয়। তাদের অব্যাহত ভয়-ভীতির কারণে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। পুলিশ দায়িত্বসহকারে তাদের তাদের দায়িত্ব পালণ না করায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মা এবং ভাইয়ের মতো আমাকেও কোনদিন খুন করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আমিনুল ইসলাম জানান- মামলা ও ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত নই। খবর নিয়ে জানতে হবে। দীর্ঘ দিনেও আদালতের নির্দেশ পালন না করা দায়িত্বে অবহেলা কি ? এমন প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেন নি।