নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের নাজিরপুরে ডুমুরিয়া নেছারিয়া বালিকা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও: একে এম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে সীমাহীন নিয়োগ জালিয়াতি ও দূর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে,মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক সদস্য সহ এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় মাদ্রাসা মাঠে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থী,শিক্ষক এবং অভিভাবরা পৃথক পৃথক বক্তব্যে বলেন, গত ২৬ আগষ্ট ২০২২ সালে একজন নৈশ প্রহরী, একজন অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর ও অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী পদে পিরোজপুর ফাজিল মাদ্রাসায় লোক দেখানো সাক্ষাৎকার গ্রহন করে প্রার্থী নির্বাচন করেন। নির্বাচিতদের নিয়োগ প্রধানের জন্য গভর্নিং বডির সদস্যদের অনুমোদন প্রয়োজন। অবৈধ নিয়োগ বৈধ করার লক্ষ্যে অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটির সদস্যদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে রাতের আঁধারে ভুল বুঝিয়ে রেজুলেশন বহিতে হুমকি দিয়ে স্বাক্ষর আদায় করেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল হক ও সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল তাদের মনোনিত প্রত্যেক প্রার্থীর কাছ থেকে ৫-৭ লাখ টাকার বিনিময়ে অযোগ্য লোক নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ নিয়োগের অভিযোগ নিয়ে ২০২২ সালে এলাকাবাসী একটি মানবন্ধন করেন মাদ্রাসা অধ্যক্ষের রিরুদ্ধে। যা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া সম্প্রতি ৮ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার অধক্ষ্য এ কে এম ফজলুক হক এবং তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য হাবিবুর রহমান গাজীর একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এর পরে ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী,ছাত্র জনতা, শিক্ষক, এবং সাধারণ লোকজন এ বিক্ষোব ও মানববন্ধন করেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল হক জানান, আমার কোন অপরাধ নাই, যা করেছে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ করেছে (সভাপতি), আরো কিছু জানতে চাইলে আমার মাদ্রাসার বাংলা শিক্ষক আলামীন খানের সাথে যোগাযোগ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরূপ রতন সিংহ জানান, মানবন্ধনের বিষয় ও এলাকাবাসীর স্মারকলীপি আমি এখও দেখি নাই, বিস্তারিত, দেখে-শুনে আমি ওই মাদ্রাসায় ভিজিটে যাব, দোষী সাবস্ত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।