শহিদুল ইসলাম খোকন, গাইবান্ধা,
গাইবান্ধায় বাজার শূন্য হয়ে পড়েছে দেশি পেঁয়াজ। চার দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।গাইবান্ধা পুরান বাজার,নতুন বাজার,হকাস্ মার্কেট, দারিয়াপুর বাজার ও তুলশিঘাট তুলনামূলক ভাবে বাজারগুলোতে ওঠানামা করছে পিঁয়াজের দাও।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আড়তদারদের সিন্ডিকেটের কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
পাইকারি বিক্রেতারা বলেন,দেশী পেঁয়াজের মজুত কমে আসছে। ফলে বাজারে এই পেঁয়াজের সংকট দেখা দিয়েছে। আমদানি করা ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। যার কারণে ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের দাম তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু মানুষ দেশি পেঁয়াজ কিনতে বেশি আগ্রহী। এতে করে আমদানি করা পেঁয়াজ ও দেশি পেঁয়াজের দামের মধ্যে ফারাক তৈরি হয়েছে। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে গিয়ে দেশী পেঁয়াজের সঙ্গে সঙ্গে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দামও বেড়ে গেছে।
মোকাম থেকে যে দামে কেনা হয়েছে, তার ওপর সামান্য লাভ করে বিক্রি করা হয়। এখানে কোন সিন্ডিকেট নাই।
বাজার করতে আসা ছাইদার রহমান বলেন, ১৫০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কিনলাম। তিন দিন আগেও এই পেঁয়াজ ছিল ১১০ টাকা। রসুনেরও দাম বেড়েছে, ১৮০ টাকার রসুন কিনলাম ২৪০ টাকা। এভাবে বাড়লে আমরা কিভাবে বাঁচব।
জাকির হেসেন নামের একজন বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, মাস গেলে যে বেতন পাই, সেটা দিয়ে আমার জীবন চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাচ্চার স্কুল খরচ, নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার, টিউশনি খরচ, মা-বাবার চিকিৎসা ব্যয়, আমার এবং বাসা ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল সব খরচ মেটাতে প্রতি মাসে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকার দেনায় পড়ছি। দ্রব্যমূল্য যদি দিন দিন বাড়তেই থাকে, তাহলে জীবন চালানো আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
মরিওম বেওয়া নামের এক নারী বলেন, চাল, মাছ, সবজি, মশলা এমন কোন পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। তেলের দামও বেড়েছে অনেক। বাজারে কোন কিছুতেই সুবিধা নেই। পাঁচ দিন আগে পিঁয়াজের দাম ছিল ১১০ টাকা আজকে পিঁয়াজের ১৬০ টাকা।এটা বাজারতো নয় যেন মানুষ মারার কল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন খুচরো সবজি বিক্রেতা বলেন, আসলে আমরা আড়তদারদের কাছ থেকে যেভাবে কিনি সেভাবে বিক্রি করি। দুজন আড়তদার এই বাজারে পেয়াজ ও আলু আমদানি করেন। তারা সিন্ডিকেট করে সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেয়। তারা ১০২ টাকা পিঁয়াজ কিনে ১৪৮ টাকা দরে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে। এসব মজুতদারদের সিন্ডিকেট ভাঙা প্রয়োজন। তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে দাবি করেন তিনি।
জামাতে এক নেতা বলেন, বাজার সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়িদের কারণে মুলত পিঁয়াজের দাম এ ভাবে ওঠানামা করতেছে।তবে শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থা ছাড়া পিঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।