স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথরিন কুক। সোমবার (০৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশান নগর ভবনে ডিএনসিসি’র প্রশাসকের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মোঃ মঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলমসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট, বাস অপারেশন এবং নিরাপত্তা এই ৩টি বিষয়ে ডিএনসিসিকে কারিগরি সহায়তা দিবে ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন (টিএফএল)। শুরুতে গুলশান-১ থেকে গুলশান-২ এ পরীক্ষামূলকভাবে কার্যক্রম শুরু করবে লন্ডন ভিত্তিক সংস্থাটি। ইতিমধ্যে গত জুলাই মাসে সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল গুলশান এলাকার বর্তমান পরিবহন ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা, ট্রাফিক সিগন্যাল, যানজট নিরসনে কাজ করার লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং UK’s Foreign, Commonwealth and Development Office (FCDO) এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। প্রথম ধাপে পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ শুরু করেছে সংস্থা দুটি।
বৈঠকে ডিএনসিসি’র প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন (টিএফএল) তাদের শহরে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করেছে যেটি বিশ্বে অত্যন্ত বিখ্যাত। ডিএনসিসি লন্ডন শহরের পরিবহন ব্যবস্থার (টিএফএল) জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে ঢাকা শহরে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। লন্ডন শহরে বিদ্যমান বাস ফ্রাঞ্চাইজি মডেল ও ট্রাফিক সিগন্যাল সিস্টেমের অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে। প্রাথমিকভাবে গুলশানে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম গ্রহণের ফলাফলের ভিত্তিতে পুরো ঢাকা শহরের পরিবহন ব্যবস্থার মহাপরিকল্পনা প্রনয়ণ করা হবে৷’
প্রশাসক আরও বলেন, ‘পুরো ঢাকা শহরের পরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ডিএনসিসি অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথেও সমন্বিতভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করবে। লন্ডনের পরিবহন ব্যবস্থার অভিজ্ঞতা ও কারিগরি পরামর্শের ভিত্তিতে ঢাকা শহরের যানজট নিরসনসহ আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বিদ্যমান। আমি বিশ্বাস করি ডিএনসিসির সাথে এই কার্যক্রমের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।