শহিদুল ইসলাম খোকন, গাইবান্ধা:
গাইবান্ধার অদূরে তুলশী ঘাটে সমবেত লাখো মুসল্লির অশ্রুসিক্ত মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তাবলীগ জামায়াতে তিন দিন ব্যাপী ইজতেমা। আল্লাহর কাছে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ’র সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা ও গুনাহ থেকে পানাহ চেয়ে মোনাজাতে শরিক হন লাখো মুসল্লি।আরবি ও উর্দু ভাষায় মোনাজাত শুরু হতেই লাখো মুসল্লির কলরব মুহূর্তে থেমে যায়।
তুলশীঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে নেমে আসে নীরবতা। তাঁর সঙ্গে লাখো মুসল্লি দুই হাত তুলে ‘আমিন’ ‘আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনি তোলেন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায়। মোনাজাতে বাংলাদেশের উত্তোরত্তর উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্যও দোয়া কর।ঢাকা কাকরাইল জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল্লহ শেখের পরিচালয়নায় শনিবার বেলা ১২টায় শুরু হওয়া মোনাজাতে গুনাহ থেকে পানাহ চেয়ে গগনবিদারী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মুসল্লিরা।
এর আগে চলে হেদায়েতি বয়ান। এ বয়ানে তাবলিগ জামাতের ৬টি উসুলের মৌলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। তিন দিন ব্যাপী ইজতেমা শুরু হয়েছিল৫ ডিসেম্বর। ৭ ডিসেম্বর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হয়। দেশি- বিদেশি মেহমানসহ কয়েক লাখ মানুষ এই আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। কয়েকটি স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি মোনাজাত সম্প্রচার করে। এসময় দেশের লাখো লাখো মানুষ পরোক্ষভাবে মোনাজাতে শরিক হন। ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশ এলাকায় নেয়া হয় কড়া নিরাপত্তা। প্রবেশের পথে ৫ স্তরের নিরাপত্তা তল্লাশি পেরিয়ে মুসল্লিদের মাঠে প্রবেশ করতে হয় ইজতেমা মাঠে।ইজতেমা ময়দান ছাড়াও আশপাশে প্যান্ডেলে জায়গা না পেয়ে নিজ উদ্যোগেই পলিথিন টানিয়ে ইজতেমায় শরিক হন মুসল্লিরা।
গাইবান্ধা শহরের সবুজ মিয়া বলেন,ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছিলাম। এবারও অনেক মানুষের সঙ্গে মোনাজাত করলাম। আল্লাহর কাছে নিজের ও পরিবারের জন্য এবং দেশের জন্য দোয়া করেছি।
ইজতেমা পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে সুষ্ঠুভাবে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ইজতেমা সমাপ্ত হলো। এতে পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে ছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শুরু হলেও যার সমাপ্তি ঘটে আজকের আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে।