গাইবান্ধায় জেলা বিএনপির মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের দাবিতে গণমিছিল

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধা  জেলা বিএনপির অযোগ্য  মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের দাবিতে গণমিছিল ও বিক্ষোভ করেন পদ বঞ্চিত,  ত্যাগি ও যোগ্য  নেতা কর্মীরা। গণমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশটি আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় গাইবান্ধা -বালাসী রোড থেকে বের হয়ে শহরে প্রধান প্রধান সড়ক  প্রদক্ষিণ করে গাইবান্ধা কাচারি বাজার প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন  করেন।

এ সময় বিএনপি সাবেক জেলা সভাপতি এ্যাড.হামিদুল হক ছানা বলেন, ওয়ান  এলিভেনের পরে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার অবৈধ পন্থায় সরকার গঠন করলে বিভিন্ন মামলা -হামলা দিয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের জেলে পাঠলে হঠাৎ করে ২০১৭ মার্চে হঠাৎ  ডা. মইনুল হাসান সাদিক ও মাহমুদুন নবী টুটুল জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়ে বসেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের সাথে  হাত মিলিয়ে  ত্যাগী,যোগ্য  নেতা -কর্মীদেরকে বাদদিয়ে শুরু করেন কমিটি বাণিজ্য।

ওর্য়াড থেকে শুরু করে জেলা কমিটি পর্যন্ত কমিটি বাণিজ্য চলতে থাকে।আওয়ামী দোসর নাহিদুজ্জান নিশাদকে বগুড়া থেকে ডেকে এনে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সিদ্ধান্ত ছাড়াই জেলা কমিটির সহ সভাপতির পদ দিয়ে বসেন।

তিনি আরো বলেন,গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার জন্য আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন  সংগ্রহ করেন  আওয়ামী নেত্রী আরজিনা পারভীন  চাঁদনি।সেই  আওয়ামী নেত্রীকে ডা.মইনুল হাসান সাদিক পলাশবাড়ী উপজেলার মহিলা দলের  সভাপতি ও আওয়ামী কর্মী হিসেবে পরিচিত নাছিমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দিলে পরবর্তীতে পদবঞ্চিতদের তোপের মুখে পড়ে কৌশল করে মহিলা দলের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের মাধ্যমে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

সরকার বিরোধী এক দফার আন্দোলন কে আরো গতিশীল করার জন্য ২০২৩ সালে নতুন নেতৃত্বে আসলেও ডা.মইনুল হাসান সাদিকে তেনম কোন রাজনীতির মাঠে দেখা যায়নি। যার কারণে মুখথুবড়ে পড়ে জেলা বিএনপি।

পবঞ্চিতের মধ্যে একাধিক নেতা বলেন,  গত ১৭ বছর যারা নির্যাতন, নিপীড়নের স্বীকার এবং একাধিক মামলার আসামি হয়ে কারা ভোগসহ হামলার শিকার হয়েছে এমন ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে দিয়েছেন। নিষ্ক্রিয়, অচেনা ও অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে কমিটি দিয়েছে।

তিনি সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই গাইবান্ধা জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন  বিএনপিকে খন্ড খন্ড করেছে এখন।

নাম মাত্র অভিযোগ এনে কামারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মো. শাহ শওকত আলী মানিক, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম সোনা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম জাহাঙ্গীর এর দলীয় পদ স্থগিত করেন।দলের পক্ষে সত্য কথা বললে পরের তিনি তাকে বহিস্কারের চিঠি ধরিয়ে দেন।তার অযোগ্য ও দূর্বল নেতৃত্বের কারণে গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর ও  ফুলছড়ি-সাঘাটা চলছে দলীয় গ্রুপিং।

গত ৪ আগস্ট বিএনপির জেলা অফিস ভাংচুর হলে ২৮ আগস্ট জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হাই বাদী হয়ে ১১৪ জন এজাহার নামীয় ও ১০০ থেকে ২০০ জন অজ্ঞাত  আসামী করে গাইবান্ধা সদর থানায় এজহার দাখিল করলে শুরু হয় জেলা বিএনপির মামলা বাণিজ্য। প্রথম ধাপে নামকাটেন রনজিত বকসি সূর্য ও চঞ্চল সাহার এরপর ধাপে চলে নাম কর্তনের বাণিজ্য।

সংবাদ সম্মেলন বক্তরা আরো বলেন , গাইবান্ধা জেলা বিএনপি উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টির এ বিষয়টি নিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ পর্যায়ে তুলে ধরা হবে। আমাদের একটা দাবি অবিলম্বে  মেয়াদ উত্তীর্ণ  কমিটি বিলুপ্তি করাসহ দলের পদবঞ্চিত,ত্যাগীদের মূল্যায়ন করে নতুন কমিটি ঘোষণা করতে হবে।  তা-না হলে গাইবান্ধার মাটিতে কোনো অবৈধ কমিটির স্থান হবে না।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement
Advertisement