নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকার নবাবগঞ্জে তাফসিরুল কুরআন মাহফিল প্রধান বক্তা হিসেবে যোগ দেবেন জনপ্রিয় ইসলামি স্কলার ও গবেষক ড. মিজানুর রহমান আজহারি। উপজেলার বারুয়াখালী গ্রামে ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে তাফসিরুল কুরআন মাহফিল। মাহফিল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ শাহজাহান শিকদার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মোঃ শাহজাহান শিকদার জানান, সব কিছু ঠিক থাকলে মাহফিলে ১৫ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে। সকাল থেকেই সেখানে থাকবেন মাহফিলের প্রধান বক্তা আজহারী। বাদ জোহর বয়ান করবেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক। দোহার-নবাবগঞ্জসহ ঢাকা ও মানিকগঞ্জ জেলার বরেণ্য ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সাইমুমসহ বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর সনদস্যরা এতে সংগীত পরিবেশন করবেন।
মাহফিল কমিটির উপদেষ্টা, বারুয়াখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন খান বলেন, মূল প্যান্ডেল ছাড়াও মহিলা শ্রোতাদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন স্থানে মোট ৭টি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ১২টি মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠান সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ৩০টি এলইডি মনিটর থাকবে। দূরদূরান্ত থেকে আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে রাখা হয়েছে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। ৬টি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে রোগী পরিবহনের জন্য। মোবাইল নেটওয়ার্ক ঠিক রাখতে বসানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ মোবাইল টাওয়ার।
এদিকে মাহফিল ঘিরে চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। ১০০০ একর কৃষিজমির বিশাল বিলকে মাহফিল ময়দান বানানো হয়েছে। মাহফিলের জন্য এলাকাবাসী বিনামূল্যে তাদের কৃষিজমি ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছেন। শেষ হয়েছে মঞ্চ, হেলিপ্যাড ও মূল প্যান্ডেল তৈরির কাজ। চলছে ওজুখানা ও টয়লেট নির্মাণের কাজ।
এছাড়াও ঐতিহাসিক এ মাহফিলকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে নিয়োজিত থাকবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বপিুল সংখ্যক সদস্য। ৩০টি পয়েন্টে গাড়ি কনট্রোল করতে নিয়োজিত থাকবে ট্রাফিক পুলিশ। অগ্নিনিরাপত্তার জন্য ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট নিয়োজিত থাকবে। নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনী এবং আনসার সদস্যদেরও উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক মাহফিলকে সফল করতে কাজ করবেন। মহিলা শ্রোতাদের প্যান্ডেলে থাকবেন মহিলা পুলিশ সদস্য। এলাকার সকল শ্রেণিপেশার মানুষ এ মাহফিল সফল করতে কাজ করে যাচ্ছেন।