স্থানীয় সূত্রে ভূমি অফিসে বেপরোয়া দালালির তথ্য অনুসারে সরজমিনে সত্যতা যাচাই করতে আমাদের কন্ঠ প্রতিনিধি গত বৃহস্পতিবার ৫ ফেব্রুয়ারি সহকারি কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর কার্যালয় কাঁচপুর রাজস্ব সার্কেলে গেলে দেখা যায় দালালের ব্যাপক আনাগোনা। এসময় একজনের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাধে উঠে আসে সোনারগাঁও ভূমি অফিসে দালাল আবুল হোসেনের অপকর্মের স্বীকারোক্তি।
আমাদের কন্ঠ প্রতিনিধির তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, তিনি ৬-৭ বছর ধরে দালালি করে আসছেন। গ্রামের সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে নাম খারিজ বাবদ ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন কিন্তু সরকারি খরচ মাত্র ১১৫০ টাকা। এই অতিরিক্ত টাকার অধিক অংশ দিতে হয় অফিসে। তবে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ভূমি অফিসে। ওই অফিসে প্রতিনিয়ত হয়রানি, দুর্নীতি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা। সেখানে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা এমন মাত্রায় পৌছেছে যে, অনেক ক্ষেত্রে ঘুষ দেওয়ার পরও কাজ হয় না। সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করতে তাদের নথিপত্র পর্যন্ত গায়েব করে দেওয়া হচ্ছে। জাল দলিলে জমির নামজারি হয়ে যাচ্ছে অন্যের নামে। নামজারি, খারিজ, খাজনা প্রদানসহ অন্যান্য কাজে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রকাশ্যে ঘুষ, দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসব চলছে ঐতিহ্যবাহী সোনারগাঁয়ের ভূমি অফিসে।
এসব বিষয়ে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আনোয়ারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি সাংবাদিকদের উপর ক্ষেপে যান, ভিডিও বন্ধ করতে বলেন। পরবর্তীতে আমাদের কন্ঠ এর প্রতিনিধি ভূমি অফিস থেকে চলে আসার পর দালাল আবুল হোসেন ও বিভিন্ন দালাল চক্র প্রতিনিধিকে মুঠোফোনের মাধ্যমে অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ প্রাননাশের হুমকি প্রদান করেন।