কক্সবাজার প্রতিনিধি :
নাম আব্দুর রশিদ, তিনি বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের ধোয়াপালং রেঞ্জে নৌকা চালক (পদবী) হিসেবে সদ্য বদলি হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গাছের গাড়ি, বাঁশের গাড়ি ও ফার্নিচারের গাড়ি আটকিয়ে চাঁদাবাজি সহ বিটের আওতাধীন বনভূমি জবরদখলকারী,পাহাড় কর্তনকারী, পাহাড়ের বালি পাচারকারী ও বনভূমিতে অবৈধভাবে স্হাপনা নির্মাণকারীদের কাছ টাকা নিয়ে এসব অপরাধ কর্মকাণ্ড করার সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নৌকা চালক আব্দুর রশিদ দীর্ঘ দিন থেকে ঘুরেফিরে একই রেঞ্জে চাকরি করার সুবাদে এই অপকর্ম চালিয়ে আসছেন।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়,আব্দুর রশিদ বনকর্মী হিসেবে ২০১৮ সালে অলিখিতভাবে (বেসরকারি) আদেশ হয়।অলিখিত থাকাকালীন তিনি রাজারকুল রেঞ্জের অধীনে ছিলেন।এই রেঞ্জে থাকাকালীন মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজি করে লাখ লাখ পকেটে ভরেছেন।পরে ২০১৯ সালে সরকারি বনকর্মী হিসেবে( লিখিতভাবে) তার আদেশ হয় ধোয়াপালং রেঞ্জের অধীনে। আব্দুর রশিদ ২০২০ সাল পর্যন্ত ধোয়াপালং রেঞ্জের অধীনে কর্মরত ছিলেন। পরে ২০২১ সালে বদলি হয়ে ইনানী রেঞ্জের জালিয়াপালং বিটে চলে যান।জালিয়াপালং বিটে দীর্ঘসময় থাকার সুবাদে বন অপরাধীদের সাথে আঁতাত করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
স্থানীয় সচেতন মহল অভিযোগ করে বলেন, বনকর্মী আব্দুর রশিদ জালিয়াপালং বিটে থাকাকালীন পাহাড় খেকো,বালুখেকো,বনের গাছ পাচারকারী, বনভূমি দখলকারী ও বনভূমিতে অবৈধভাবে স্হাপনা নির্মাণকারীদের সাথে আঁতাত করে বনভূমি ধ্বংস করেছে।বন অপরাধীদের সুযোগ করে দিয়ে নিজের পকেটে ভরেছেন লাখ লাখ টাকা।সে রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায় বেশি ছিলেন।জালিয়াপালং বিটে লুটপাট শেষ করে
বনকর্মী আব্দুর রশিদ উপর মহলকে ম্যানেজ করে আবারও ধোয়াপালং রেঞ্জে বদলি নিয়েছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে থেকে পাওয়া,এক রেঞ্জ বা বিট থেকে অন্য বিটে ফরেস্ট গার্ডদের যেসব বদলি ও পদায়ন করা হয় তা ডিএফও করে থাকেন।আর এসব বদলি ও পদায়নে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বানিজ্য হয় থাকে। যে ফরেস্ট গার্ড যত বেশি টাকা দিতে পারবে তার বদলি ভালো রেঞ্জ বা বিটে হয়।প্রতি ফরেস্ট গার্ড থেকে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা দাবি করা হয় বলে জানা যায়।
এবিষয়ে আব্দুর রশিদ বলেন,এ-সব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি টাকা দিয়ে বদলি নেয়নি।সবাই তো চাই একটা জায়গায় পোস্টিং নিতে।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন,নিয়ম অনুযায়ী তাকে বদলি করা হয়েছে। সবাই তাকে ভালো বলছে তাই সেখানে দেয়া হয়েছে। সে কি অপরাধ করেছে তা আমি অবগত নয়।