নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের পঠন দক্ষতা ও পাঠাভ্যাস উন্নয়নের লক্ষ্যে পদ্ধতিগত গবেষণা পর্যালোচনা, কৌশল অনুসন্ধান ও সুপারিশ নির্ধারণের জন্য দুদিনব্যাপী ‘রিডিং কনফারেন্স’ আজ গাজীপুরের শ্রীপুরে শুরু হয়েছে।
‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও ‘রুম টু রিড বাংলাদেশ’ ‘স্বাধীন পাঠক তৈরিঃ পঠন দক্ষতা ও পাঠাভ্যাস উন্নয়নে সম্মিলিত ও সমন্বিত প্রয়াস’ ‘‘রিডিং কনফারেন্স-২০২৫’ এর আয়োজন করেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনাস্থ ড্রীম স্কয়ার রিসোর্টে ‘‘রিডিং কনফারেন্স-২০২৫’ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আব্দুল হাকিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পিইডিপি-৪) মোঃ আতিকুর রহমান, ‘রুম টু রিড বাংলাদেশ’ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রাখী সরকার, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) জিয়া আহমেদ সুমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক হোসনে আরা বেগম এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি) ড. মোঃ আতাউল গনি।
উপদেষ্টা বলেন, শিশুকে সুশিক্ষিত করে তুলতে হলে শিক্ষাকে আনন্দময় করে তুলতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষার মূলভিত্তি হলো পাঠাভ্যাস, যা শিশুর একাডেমিক সাফল্য ও মানসিক বিকাশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। শিশুদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হলে পাঠকে আনন্দময় করে তুলতে হবে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নীতিনির্ধারক, শিক্ষক, গবেষক ও উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে যুক্ত হয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা বিনিময়, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ চিহ্নিতকরণ এবং সমাধানমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ পাবেন। তাত্ত্বিক আলোচনা, গবেষণালব্ধ প্রমাণ এবং মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে এই উদ্যোগ একটি টেকসই, কার্যকর এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তি গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। সম্মেলন থেকে অর্জিত জ্ঞান ও সুপারিশসমূহ প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি কার্যকর কর্মপরিকল্পনা গঠনে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, মানসম্মত শিক্ষার জন্য প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের যথাযথ পঠন-দক্ষতা ও পাঠাভ্যাস উন্নয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পড়ার দক্ষতা ছাড়া একদিকে যেমন পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব নয়, অন্যদিকে তেমনি পাঠাভ্যাসের মাধ্যমেই কেবল শিক্ষার্থীদের পঠন-দক্ষতার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি সম্ভব।
শিক্ষা নিয়ে কর্মরত উপস্থিত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ১৪০জন দু’দিন ব্যাপী রিডিং কনফারেন্সে অংশ নিচ্ছে।