নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মোবাইল ইন্টারনেটের অব্যবহৃত ডাটা, মিনিট এবং এসএমএস ক্রয়কৃত পরবর্তী ডাটা, মিনিট ও এসএমএস প্যাকেজের সঙ্গে কেন অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গত রোববার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান কায়েস। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ গ্রাহক মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। আইনে আছে মোবাইল ফোনের অব্যবহৃত ডাটা ক্রয়কৃত পরবর্তী ডাটার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। কিন্তু মোবাইল ফোনের জন্য ক্রয়কৃত ইন্টারনেট ডাটা, মিনিট ও এসএমএস অব্যবহৃত থাকলেও পরবর্তীতে আর তা ব্যবহার করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, মোবাইল কোম্পানিগুলোর কোনটিই বিটিআরসির আইন মানছে না। তারা যা ইচ্ছা তাই করছে। মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর এমন অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য গত ১৩ জানুয়ারি ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, গ্রামীণ ফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটককে আইনি নোটিশ পাঠাই। তারা সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমি নিজে সংক্ষুব্ধ হয়ে গত ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট করি। আজ সে রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।